
পূর্ব বিরোধের জেরে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা শহরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে শতাধিক লোক আহত হয়েছে। এ সময় দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার আনমনু ও তিমিরপুর গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার তিমিরপুর গ্রামের খসরু মিয়ার সঙ্গে ইনাতগঞ্জের আশাহীদ আলী আশার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় আনমনু গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা আশাহীদ আলী আশার পক্ষ নেন। এর জেরে সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় উপজেলা শহরের ইউনাইটেড হাসপাতাল, হাসেমবাগ হোটেল ও মাছ বাজারসহ ১০ থেকে ১২টি দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, তিন দিন ধরে উপজেলা শহর উত্তপ্ত ছিল, যা সোমবার সংঘর্ষে রূপ নেয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরো বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে। শহরের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
রাজু