ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

বনপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ইউএনও’র স্বাক্ষর জালের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ॥

প্রকাশিত: ২০:১৭, ৭ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২০:১৮, ৭ জুলাই ২০২৫

বনপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ইউএনও’র স্বাক্ষর জালের অভিযোগ

হালুয়াঘাট উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত বনপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ইমদাদুল হকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে ৫ জন শিক্ষকের এমপিও আবেদনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী নূর খান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়েছেন। প্রশাসন জানায়, গত ৩০ জানুয়ারি ইউএনও’র স্বাক্ষর স্ক্যান করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক বরাবর বেতন-ভাতার সরকারি অংশের (এমপিও) জন্য আবেদন করা হয়। আবেদনে এমপিওভুক্তির জন্য যাদের নাম দেওয়া হয়েছে তারা হলেন-মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম (প্রভাষক, উচ্চাঙ্গ সংগীত), মোস্তফা হাসান (প্রভাষক, শিশুর বিকাশ), মো. ফারুক খান (প্রভাষক, নাট্যকলা), বিউটি রানী সরকার (প্রভাষক, সংস্কৃত), মোছা. শেফালী খাতুন (প্রভাষক, পালি), রিফাত হাসান (অফিস সহায়ক)।

ইউএনও আলী নূর খান বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের কারো সাথে আমি পরিচিত নই। বিগত ৬ মাসের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানের কেউ আমার কাছে আসেননি। আমার স্বাক্ষর স্ক্যান করে এমপিও আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ ইমদাদুল হককে আমার অফিসে একাধিকবার ডাকা হলে তিনি আসেননি।

স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে ৫০ শতক জায়গায় বনপাড়া আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপিত হয়। ২০১০ সালে এটি নিম্ন মাধ্যমিক হয়ে পরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এমপিওভুক্ত হয়। এমপিও হওয়ার জন্য অতীতে নিম্ন মাধ্যমিকের শিক্ষক দিয়েই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিভিন্ন পদ দেখিয়ে মাধ্যমিকের আবেদন করা হয়। এমপিও অনুমোদনের পর সেই শিক্ষক-কর্মচারীদের বাদ দিয়ে “দলীয় ছত্রছায়ায় স্বজনদের চাকরি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

বর্তমানে যেসব স্বজনদের অধ্যক্ষ চাকরি দিয়েছেন তারা হলেন আয়া পদে অধ্যক্ষের স্ত্রী ইসমত আরা, স্ত্রীর বড় ভাই সহকারী শিক্ষক (আইসিটি) মোস্তফা কামাল, ছেলে মো. ইমরুল কায়েছ ল্যাব সহকারী, ছোট বোন আয়েশা খাতুন কৃষি শিক্ষক, বোন জামাই আজিজুল হক সহকারী শিক্ষক, দুই ভাগ্নি শেফারী বেগম ও ঝর্ণা আক্তার ল্যাব সহকারী, ভাগ্নি জামাই নৈশ্য প্রহরী ও বোনের ছেলে পরিচ্ছন্নতা কর্মী।

অধ্যক্ষ ইমদাদুল হক আ’লীগের দোসর। সাবেক এমপি জুয়েল আরেং ও মাহমুদুল হক সায়েমের ছত্রছায়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে নিয়োগের নামে কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের এ.কে.এম আলিফ উল্লাহ আহসানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি।

বনপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ইমদাদুল হকের মুঠোফোনে বারবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

আফরোজা

×