
ছবি: জনকণ্ঠ
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়ারি গ্রামে সড়কের ওপর হাঁটু সমান কাঁদা হওয়ায় বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে জনসাধারণের চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সড়কটি যুগের পর যুগ ধরে বেহাল অবস্থায় থাকলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না থাকায় স্থানীয়রা বাঁশ ও গাছ দিয়ে সাঁকো তৈরি করেছেন। এই মাটির সড়কটি বানিয়ারি গ্রাম হয়ে কালীগঞ্জ গ্রামের সঙ্গে সংযোগ হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারও মানুষ চলাচল করে।
বর্ষা মৌসুমে এই সড়কে হাজারও মানুষের জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধি ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ন্যা দিলেও সড়কটি সংস্কার বা পাকা হয়নি।
অনেকদিন ধরেই সড়কটি মাটি দিয়ে উঁচু এবং পাকা করার দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা মাটির সড়ক দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে সড়কে কোনো ভাবে চলাচল করতে পারলেও বর্ষা মৌসুম সড়কটিতে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। বৃষ্টির পানি ও মাটি মিশে কাদায় একাকার হয়ে যায় পুরো সড়ক।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাঁচা মাটির সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সমতল ভূমির সঙ্গে মিশে গেছে। এখন সড়কটি খানা-খন্দে ভরে গেছে। বর্ষা মৌসুমে পানি আর কাদায় রাস্তাটি চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা নিজেরাই বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন।
স্থানীয় স্বপন মোল্লা নামে এক যুবক বলেন, রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন বহু মানুষ যাতায়াত করেন। এই রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসী ছাড়াও বানিয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম বানিয়ারী হিলফুল ফুজুল ইসলামিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীরা যাওয়া-আসা করে। জন্মলগ্ন থেকে দেখছি মানুষজন রাস্তার ওপর থাকা হাঁটু সমান কাদা মাড়িয়ে যাওয়া আসা করছে। আমাদের দুর্ভোগ লাঘবে কেউ এগিয়ে আসেননি।
জুয়েল মিয়া বলেন, বর্ষা আসলেই আমাদের চিন্তার কোন শেষ থাকে না।দিনের পর দিন চিন্তা ও হতাশার মধ্যে কাটাতে হয় আমাদের। চলার কোন উপায় মিলাতে না পেরে সর্বশেষ গ্রামবাসী সবাই মিলে সড়কের উপরে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে জরুরী কাজে ঘরের বাহিরে বের হচ্ছি।
মোঃ ফোরকান নামে অপর যুবক বলেন, এই সড়কে চলাচলে দুর্ভোগ কমাতে আমাদের বাপ-চাচাদের দেখেছি জনপ্রতিনিধিদের পিছপিছ ঘুরতে। সবাই আশ্বাস দিয়েছেন কিস্তু রাস্তা করে দিতে কেউ আগাননি।
এ বিষয়ে মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, বানিয়ারি থেকে কালীগঞ্জ বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি খুবই খারাপ অবস্থা। বেশ কয়েকবার এলজিইডিতে এই প্রকল্পটি দেওয়া হয়েছে এখন পর্যন্ত পাস হয়নি।আশা করছি প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তব হতে যাচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র দাস বলেন, রাস্তাটি আমি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। কাদায় চলাচলে দুর্ভোগ হওয়ায় জনসাধারণ রাস্তার উপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। বর্তমানে এস বি পি প্রকল্পে রাস্তাটি আমাদের অধিদপ্তরে পরবর্তী টেন্ডারের জন্য আবেদন করছি। আমি আশা করছি এই ২৫-২৬ অর্থবছরে আমার কাজটি টেন্ডারে যাবে।
ছামিয়া