
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভা ও এর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্রের সড়কগুলোতে এখন নিত্যদিনের সঙ্গী অবর্ণনীয় জনদুর্ভোগ। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কগুলোতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। খানাখন্দে ভরা এই সড়কগুলো পরিণত হয়েছে ছোট ছোট জলাশয়ে। ফলে স্কুল শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, যানবাহন চালক, রোগীবাহী গাড়ি কারোরই স্বাভাবিক চলাচল আর সম্ভব হচ্ছে না।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সওজ-এর আওতাধীন চৌরঙ্গী মোড়, কলেজ মোড়, সোনালী ব্যাংক থেকে কমলাপুর ব্রিজ পর্যন্ত এবং পৌরসভার আওতাধীন পোস্ট অফিস রোড, কেজি স্কুল রোড ও গোপীনাথপুর তেরাইছা মোড় সংলগ্ন সড়কগুলো সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। কাদাপানিতে ভরা গর্ত পার হয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে মানুষ।
ছাত্রছাত্রীদের ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি। মুকসুদপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাওন জানায়, “প্রতিদিন কাঁদা-মাটি ভেঙে স্কুলে যেতে হয়। অনেকবার পিছলে পড়ে বই-খাতা নষ্ট হয়েছে।”
দুর্ভোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভ্যানচালক শুকুর আলী, “এই রাস্তায় রিকশা চালানো যে কী কষ্ট! চাকা গর্তে পড়লে মনে হয় রিকশা ভাইঙা যাবি। যাত্রীরাও ভাঙা রাস্তায় উঠতে চায় না।”
রোগী পরিবহনে দুর্ভোগ আরও বড় আকার নেয়। বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী ইমন মৃধা বলেন, “এই রাস্তা দিয়ে রোগী নিয়ে যেতে গেলে মনে হয় গাড়ির সঙ্গে রোগীর জীবনও কাঁপছে। অ্যাম্বুলেন্সের ঝাঁকিতেই রোগীর যন্ত্রণা বেড়ে যায়।”
এ প্রসঙ্গে মুকসুদপুর পৌরসভার প্রকৌশলী সদানন্দ রায় জানান, “কলেজ মোড় থেকে কমলাপুর ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি সওজ-এর আওতাধীন। পৌরসভার রাস্তাগুলোরও অবস্থা খারাপ হলেও অর্থের অভাবে সংস্কার করা যাচ্ছে না। নতুন প্রকল্প পেলে কাজ করা হবে।”
স্থানীয়রা বলছেন, অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে বর্ষার সময় এই দুর্ভোগ আরও ভয়াবহ রূপ নেবে। তাদের দাবি, এই প্রধান সমস্যাটি স্থায়ীভাবে সমাধানে কর্তৃপক্ষ যেন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।
মিমিয়া