
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মেয়র নির্বাচন করা মেজবাহ উদ্দিন সরকার রুবেলকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে টঙ্গী পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে গাজীপুর ও ঢাকার বিভিন্ন থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে এলাকাবাসী বলছে। তবে রুবেল সরকার বলছেন তিনি মব ষড়যন্ত্রের শিকার।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার টঙ্গীর আরিচপুরে দলবল নিয়ে বিরোধপূর্ণ একটি জমি ও বসতবাড়ির সমস্যা সমাধান করতে যান রুবেল সরকার ও তাঁর সমর্থকরা। এ সময় দুপক্ষে সংঘর্ষ বাঁধে। তখন রুবেলকে একটি কক্ষে আটক ও তাঁর সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে এমন তথ্য জানিয়ে জাতীয় জরুরি পরিসেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেওয়া হয়।
পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রুবেল সরকার বলেন, বাড়ি বা জমি দখলে তিনি আরিচপুর যাননি। তিনি একজন শিল্পপতি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত ছিলেন না। উল্লেখ করা যেতে পারে, ব্যবসায়ী শিল্পপতি হিসাবে নানা সময়ে আওয়ামী লীগ বিএনপি দুদলেরই দলীয় সভা-সমাবেশে উপস্থিত থাকতেন রুবেল সরকার।
এদিকে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত তিনজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম বলেন, "গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় রুবেল সরকারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিকেলে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তাঁকে হস্তান্তর করা হয়েছে।"
মহানগর দক্ষিণ গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার অশোক কুমার পাল জানান, রুবেলকে আগামীকাল বুধবার আদালতে পাঠানো হবে।
Mily