ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

পটুয়াখালীর দশমিনায় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২২:৫১, ১ জুলাই ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনায় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১

সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে মো. ফাহিম বয়াতি (১৮) নামে এক তরুনের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাতে স্বজনেরা ফাহিমকে রক্তাত্ব অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন। এসময় ফাহিমের বাবা মো. জাকির হোসেন বয়াতির (৪৩) এর অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাঁকে দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে দশমিনা উপজেলার চিংগড়িয়া বেতাগি সানকিপুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ধলুফকির বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে। তবে ভিকটিম ও হামলাকারীদের বাড়ি বাউফলের নওমালা ইউনিয়নের ভাংরা গ্রামে। ঘটনার পরপর হামলায় অংশ নেয়া সানু মীর নামে এক ব্যক্তিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছেন স্থানীয়রা।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. ইব্রাহীম মৃধা (২৫) বলেন, স্থানীয় আধিপত্যের জেরে স্থানীয় সানু মীর ও তাঁর ছেলে সোহাগ মীর (২০) সহ কয়েকজন তরুন ফাহিমের উপর আঘাত করে। এসময় ফাহিমের বাবা জাকির হোসেন ছেলেক বাচাতে এগিয়ে আসলে তরুনরা তাঁকেও আঘাত করে রক্তাত্ব জখম করে। হামলাকারীরা এসময় সুইজ গিয়ার নামে একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবা ও ছেলেকে আঘাত করে বলে জানান তিনি।

মো. ইব্রাহীম মৃধা আরও বলেন, এর আগে সোহাগ মীর ফাহিমের সঙ্গে ঝামেলায় লিপ্ত হয়েছিল। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি মিমাংসা করে দিলেও হামলাকারী তাতে শান্ত হয়নি। এরপর ফাহিম কোরবানির ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসলে হামলাকারীরা কৌশল খুঁজতে থাকে। নিহত ফাহিম কাজের পাশাপাশি পড়াশোনা করতেন বলে জানান তিনি।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার শাহরিয়ার শুভ জানান,‘আজ সন্ধ্যার দিকে রক্তাত্ব অবস্থায় দুই জনকে মুমূর্ষ অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। এর মধ্য তরুন বয়সী একজন মৃত ছিল। অপর জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি দেয়া হয়েছে। তবে তাঁর স্বজনেরা সম্ভবত তাঁকে বরিশাল নিয়ে গেছেন’।

দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল আলিম জানান,‘ঘটনা শুনে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এসময় হামলাকারী সানু মীর নামে একজনকে গণধোলাই দিয়ে আটক করে রেখেছেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ সানু মীরকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এছাড়াও ঘটনার সাথে জড়িত সানু মীরের ছেলে ও আত্মীয়-স্বজন পলাতক রয়েছে। তাঁদেরকে ধরতে অভিযান চলছে’।

 

রাজু

×