
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণের শিকার শেখ জামালকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টহল দল। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত অপহরণকারী শফিকুল ইসলাম (৩৫)–কে আটক করা হয়েছে।
সেনা সূত্র জানায়, ২৯ জুন রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ফরিদপুর আর্মি ক্যাম্পে নাসিমা আক্তার (৩২) নামের এক নারী অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী শেখ জামালকে ওই দিন বিকেলে ঢাকার পল্টন এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়েছে এবং তাঁকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় অজ্ঞাত এক স্থানে আটকে রাখা হয়েছে। অপহরণকারীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছিল এবং জামালকে মারধর করছিল বলে তিনি জানান।
অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ১৫ রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের ফরিদপুর আর্মি ক্যাম্প পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয় এবং উদ্ধার অভিযান শুরু করে। প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য ও স্থানীয় সূত্রের ভিত্তিতে পশ্চিম আলগি, ভাঙ্গা এলাকার শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে উক্ত অপহরণের ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
তথ্য যাচাই–বাছাই শেষে ৩০ জুন ভোর ৫টায় যৌথ টহল দল সন্দেহভাজনের অবস্থান নিশ্চিত করে পশ্চিম আলগির একটি পরিত্যক্ত খড়ের ঘরে অভিযান চালায়। অভিযানে উক্ত ঘর হতে অপহৃত শেখ জামালকে জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।
পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, শেখ জামাল বিদেশে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যান। প্রতারিত হয়ে শফিকুল ইসলাম আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে অপহরণের পরিকল্পনা করেন এবং ঢাকার পল্টন এলাকা থেকে জামালকে অপহরণ করেন। এরপর জামালের পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
আটক শফিকুল ইসলামকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সেনা সূত্র মতে জানা যায়, অবৈধ অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে রয়েছে সেনাবাহিনী। অপরাধ দমনে সেনা ক্যাম্পসমূহকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সহায়তা করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।
সজিব