
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার একটি খামারে বেড়ে ওঠা বিশাল আকৃতির সাদা রঙের ষাঁড় ‘সাদা পাহাড়’ এখন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে আলোচনার শীর্ষে। ৩০ মণ ওজনের এই হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। তার দৈহিক গঠন, রং ও শান্ত স্বভাব সবার কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।
পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের রামকোল গ্রামের বাসিন্দা প্রশান্ত কুমার দাস ২০২২ সালে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থেকে ছোট অবস্থায় ষাঁড়টিকে কিনে আনেন। এরপর সন্তানের মতো যত্ন করে বড় করে তুলেছেন ‘সাদা পাহাড়’কে। তার ভাষায়, “ওকে শুধু ব্যবসার জন্য নয়, ভালোবাসা থেকেই লালন করেছি।”
খামারে গিয়ে দেখা যায়, ষাঁড়টির জন্য রয়েছে আলাদা ঘর, দিনে তিনবার গোসল, ফ্যান-লাইট চালু রাখা হয় ২৪ ঘণ্টা। খাবারের তালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, খড়, খেসারি, জব ও ভুট্টার মিশ্রণ। খরচ হয় প্রতিদিন গড়ে এক হাজার টাকারও বেশি।
খামারের কর্মী কালাম প্রামাণিক বলেন, “অনেকেই প্রথমে বিশ্বাসই করতে চান না এমন ষাঁড় বাস্তবে আছে। সাদা পাহাড়কে একবার দেখলে সবাই অবাক হয়ে যান।”
প্রশান্ত কুমারের স্ত্রী ভারতী দাস বলেন, “আমাদের খামারে ৩০টি গরু থাকলেও ‘সাদা পাহাড়’ আমাদের পরিবারের সবচেয়ে আদরের সদস্য। তবে এবার কোরবানির ঈদে যোগ্য ক্রেতার হাতে তুলে দিতে চাই।”
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানিয়েছে, রাজবাড়ী জেলায় কোরবানিকে কেন্দ্র করে প্রায় ৮৯ হাজার পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যেও ‘সাদা পাহাড়’ হয়ে উঠেছে ব্যতিক্রম এক তারকা।
ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, সাদা পাহাড়কে ঘিরে মানুষের ভিড়ও বাড়ছে। কেউ আসছেন শুধু দেখতে, কেউ ছবি তুলতে, কেউ আবার কিনতেও আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে বিক্রি হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। সব নির্ভর করছে ক্রেতার মন-মানসিকতা ও দামদর মিলানোর ওপর।
মিমিয়া