ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

সুন্দরবন দিয়ে ভারতীয় জাহাজ থেকে পুশইনকৃত বাংলাভাষী নাগরিকদের ৭৪ জন বাংলাদেশী

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ০৮:০০, ১২ মে ২০২৫; আপডেট: ০৮:০১, ১২ মে ২০২৫

সুন্দরবন দিয়ে ভারতীয় জাহাজ থেকে পুশইনকৃত বাংলাভাষী নাগরিকদের ৭৪ জন বাংলাদেশী

বঙ্গপোসাগর তীরবর্তী মান্দারবাড়িয়া সুন্দরবন  এলাকায় ফেলে যাওয়া ৭৮ জন বাংলাভাষীর মধ্যে ৭৪ জনকে বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অপর চারজন ভারতীয়। দু’দিন ধরে তাদের নাম পরিচয় সনাক্তকরণের কাজ শেষে রবিবার রাতে কোস্টগার্ড  ‌সূত্র বিষয়ািট নিশ্চিত করেছে।

এসব বাঙলাভাষী নাগরিকদের ভারতীয় একটি জাহাজ ও স্পিবোর্ডযোগে গত ৯ মে বঙ্গপোসাগরের একটি চরে ফেলে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে তারা পায়ে হেঁটে নিকটস্থ মান্দারবাড়িয়া টহলফাঁড়িতে আশ্রয় নেয়। 

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন জানান, এভাবে আকস্মিকভাবে ৭৮ জনকে বঙ্গপোসাগর তীরবর্তী নির্জন এলাকায় ফেলে যাওয়ার ঘটনা সকলকে বিস্মিত করে। পরবর্তীতে বনবিভাগ ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সহায়তায় এসব মানুষকে মান্দারবাড়িয়া টহলফাঁড়িতে আশ্রয় দেয়া হয়। এসময় তাদের নাম পরিচয় ঠিকানা সনাক্তের পাশাপাশি তাদের সুস্হ রাখার জন্য শুকনা খাবারসহ চাল ডাল ও পানিসহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হয়। 

এদিকে কোস্টগার্ড কতৃপক্ষ নিশ্চিত করে জানিয়েছে পুশইনকৃতদের মধ্যে ৭৪জন বাংলাদেশী হলেও চারজন ভারতীয় নাগরিক রয়েছে। সংস্থাটির পক্ষে আরও জানানো হয় প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে তাদেরকে ১১ মে দুপুর আড়াইটার দিকে সমুদ্রপথে মংলায় নেয়া হয়। পরবর্তীতে একই জাহাজযোগে এসব ব্যক্তিকে নিয়ে জাহাজটি রাতে শ্যামনগরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সেখানেই তাদেরকে হস্তান্তর করা হবে। জানা যায়, ভারতের গুজরাটের বস্তিতে বসবাস করত তারা। ভারতের বৈধ নাগরিকত্ব দেখাতে না পারার কারণে তাদেরকে পুশইন করা হয়েছে। খবর পেয়ে মংলা কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে যায়। বন বিভাগ তাদেরকে কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করে।

বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক মশিউর রহমান জানান প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে ৭৮ জন বাংলাভাষীকে ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তারা স্পিডবোর্টসহ ভেসেলযোগে তাদেরকে বঙ্গপোসাগরের চরে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। তবে তারে উপর শাররীক নির্যাতনসহ কোন ধরনের অসৌজন্যমুলক আচারণ করেছে কিনা সেটা এখনও জানা যায়নি।

মুমু

×