
অবিক্রীত অবস্থায় মাঠে পড়ে আছে হাজার হাজার মেট্রিকটন লবণ
বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্রেরদাম চরম ঊর্ধ্বমুখী হলেও চলতি মৌসুমের শুরু থেকে পানির মূল্যে নেমে এসেছিল লবণের দাম। তার পরেও বেজায় মন খারাপ অবস্থায় উৎপাদন কাজে নিয়োজিত ছিল লবণ চাষিরা। বর্তমানে মৌসুমের এক্কেবারে শেষ সময়ে এসে মণপ্রতি ১৩০-১৪০ টাকার সেই লবণের দাম বেড়ে বর্তমানে মণপ্রতি প্রায় ৩০০ টাকা দামে বেচাকেনা চলছে। এতে করে পরানে পানি এসেছে কুতুবদিয়াসহ গোটা কক্সবাজার এলাকার লবণ চাষিদের মাঝে। এদিকে বৈশাখ মাস হচ্ছে লবণ উৎপাদনের শেষ সময়। আবহাওয়া ভালো থাকলে যে ক’দিন উৎপাদন হয় তা নিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে লবণ চাষিরা।
কুতুবদিয়াসহ কক্সবাজার এলাকায় উৎপাদিত লবণে গোটা দেশের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হলেও সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়মনীতি নেই জনগুরুত্বপূর্ণ এই লবণ শিল্পের। ফলে বছরকে বছর লোকসান গুনতে-গুনতে পেশা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে অনেক লবণ চাষিকে। তাই দেশীয় লবণ শিল্পের বিকাশের স্বার্থে দ্রুত লবণ বোর্ড গঠন করে লবণের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা না হলে মুখ তুবড়ে পড়বে কক্সবাজার এলাকার মানুষের অন্যতম আয়ের উৎস লবণ শিল্প। পেশা ছেড়ে বেকার হয়ে পড়বে লাখ-লাখ লবণ চাষি ও পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে থাকবে হাজার-হাজার একর লবণ মাঠ। লবণ আমদানিনির্ভর হয়ে পড়বে দেশ।
বিসিক সূত্রে জানা যায়, কুতুবদিয়ায় প্রায় ৭ হাজার একর জমিতে লবণ উৎপাদন করা হচ্ছে। অর্থাৎ কুতুবদিয়ার ২ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ৬০-৭০% মানুষের অন্যতম আয়ের উৎস লবণ শিল্প। চলতি মৌসুমে লবণের জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬.১০ লাখ টন। এ পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ২০ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি। এতদিন লবণের দাম কম থাকলেও নিত্যদিনের খরচ পোষাতে পানির দামে বিক্রি করে দিয়েছে প্রায় ৩০/৪০% গরিব চাষিদের উৎপাদিত লবণ। বাকি চাষিদের হাজার-হাজার টন লবণ এখনো ত্রিপল মুড়িয়ে মাঠে রেখে দিয়েছে অবিক্রীত অবস্থায়।
প্যানেল