
ছবি: জনকণ্ঠ
সাত দিন ধরে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরমে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে জনজীবন। এই সময় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন ,বেড়েছে রোগ বালাই। সম্প্রতি বয়ে যাওয়া বন্যা সামলিয়ে উঠতে না উঠতেই প্রাকৃতিক খরার কবলে পড়েছে উপজেলার মানুষ। এই উপজেলার চারিদিকে যেন মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এসব মানুষ একটু স্বস্তি পেতে ছুটছেন এদিক-সেদিক। কেউ বা ছুটছে গাছতলায়। আবার অনেকে ঠান্ডা পানীয় ও আইসক্রিম খেয়ে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে।
শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সহ দেখা যায়-গরমের ফাঁদে পড়া মানুষের হাঁসফাঁসের চিত্র। এ সময় অনেকেই ঘাম ঝরা দেহে জীবিকার তাগিদে রিকশা-সিএনজি নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে।
এই উপজেলায় চলছে সাত দিন ধরে প্রখর রোদের ঝলকানি। আর এই রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠসহ বাসা বাড়ি ও পথঘাট। যার ফলে বেড়েছে দাবদাহ। অসহনীয় গরমে মানুষের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর প্রভাবে সব শ্রেণি পেশার মানুষেরা কোনো কাজেই মনোযোগী হতে পারছে না। অফিস আদালতের কর্মজীবীদেরও ওষ্ঠাগত অবস্থা। তীব্র গরমে তারা ঠিকমতো কাজকর্ম করতে পারছেন না। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা। প্রখর রোদ আর অসহনীয় গরমে কৃষক মাঠে কাজ করতে পারছে না। সেইসঙ্গে সিএনজি, অটোরিকশা ও ভ্যান চালকদেও ও একই অবস্থায়। অনেকে জীবিকার তাগিদে বাড়ি থেকে বের হলে রোদ-ভ্যাপসা গরমে অস্থির হয়ে পড়ছেন। বাধ্য হয়ে তারা ঘরে ফিরে আসছেন। এর ফলে থমকে গেছে শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রা।
এমন পরিস্থিতি নাঙ্গলকোট উপজেলায় বেড়েছে রোগবালাই। অনেকের ডায়রিয়া, স্বর্দি, জ্বর, কাশি, মাথা ব্যথা ও নানা রোগের আক্রান্ত হচ্ছেন। তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে এক পশলা বৃষ্টির প্রার্থনা করছে। তবে গরমের সুযোগে ব্যবসা বেড়েছে কনফেকশনারি দোকানিদের। এসব দোকানে ফ্রিজে রাখা পানীয়, আইসক্রিম, দই, শরবত ও ঠান্ডা খাবার কিনতে ভিড় করছে মানুষ।
পাটোয়ার বাজারের মো: মহিন নামে নামের এক কনফেকশনারি দোকানি বলেন, সম্প্রতি তীব্র দাবদাহের কারণে ব্যবসা বেড়েছে কনফেকশনারি দোকানিদের।দোকানে ফ্রিজে রাখা পানীয়, আইসক্রিম, দই, শরবত ও ইত্যাদি জাতীয় ঠান্ডা খাবার কিনতে ভিড় করছে গরমের কবলে পড়া মানুষ।
নাঙ্গলকোট উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার সফিকুর রহমান জানান, গরমে পানি স্বল্পতাসহ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। তাই তীব্র তাপদাহে শিশু, বৃদ্ধদের খুব জরুরি কাজ ছাড়া বের না হওয়া ভালো। গত ৫দিন ধরে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
রবিউল