
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় কাগজপত্রবিহীন তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করাকে কেন্দ্র করে নড়িয়া থানায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। এসময় ভাঙচুর করা হয় থানা কমপ্লেক্সের দুটি কক্ষে। হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন একজন পুলিশ কনস্টেবল। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে নড়িয়া থানায় জব্দকৃত মোটরসাইকেল ছাড়িয়ে নিতে গিয়ে এই হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। অভিযোগ উঠেছে, এই ঘটনার সাথে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী জড়িত।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে নড়িয়ায় কাগজপত্রবিহীন তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে মোটরসাইকেল ছাড়িয়ে নিতে থানায় আসেন স্থানীয় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এসময় রেজিস্ট্রেশনের বৈধ কাগজ না থাকায় মোটরসাইকেল ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায় পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে থানায় হামলা করে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। ভাঙচুর চালানো হয় থানা কমপ্লেক্সের দুটি কক্ষে ও পুলিশের গাড়িতে।
এসময় হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মো. বিল্লাল নামে এক কনস্টেবল গুরুতর আহত হন। তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
শরীয়তপুর পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িতদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে আমরা বেশ কয়েকজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এখনও তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যেহেতু পুলিশের স্থাপনায় হামলা হয়েছে, সুতরাং এ ঘটনার সাথে যে রাজনৈতিক দলের লোকই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আমাদের একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। তবে তিনি এখন শঙ্কামুক্ত আছেন।’
আফরোজা