
ছবি: জনকণ্ঠ
শরীয়তপুর সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করেছেন। উক্ত সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ব্যাপক জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার দুপুরে এই অভিযান চালানো হয়।
সেবাগ্রহীতাদের জিম্মি করে অবৈধভাবে অর্থ আদায়, জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে রাজস্ব ফাঁকি, নির্ধারিত ফির বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, মূল দলিলের নকল উত্তোলনের জন্য সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে ২/৩ গুণ বেশি ফি আদায়, টাকার বিনিময়ে মূল দলিলের নকল কপিতে ভুয়া গ্রহীতার নাম লিখে নকল সরবরাহ, নকলের সার্টিফায়েড কপি অফিসে জমা না দিয়ে ভুয়া কেস নম্বর দিয়ে গ্রাহকের নিকট সরবরাহ করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ, মূল দলিলে গ্রহীতার নাম পরিবর্তন করে দেওয়াসহ নানাবিধ অপকর্ম চলে আসছে এ অফিসে।
এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর শাখার সহকারী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি দল বুধবার অভিযানে অংশ নেয়। অভিযানে বেশকিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ তারা পেয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সহকারী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো. ওমর ফারুক বলেন, “অফিসে যাতে কোনো প্রকার দুর্নীতি না হয়, তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এদিকে শরীয়তপুর জেলা রেজিস্ট্রার হেলেনা পারভীনের বিরুদ্ধে বদলির বাণিজ্য, স্বেচ্ছাচারিতা, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অফিসে অনুপস্থিত থাকাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন সেবাগ্রহীতারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বলেন, “ঈদের ছুটি কাটিয়ে রেজিস্ট্রার স্যার বুধবার অফিসে এসেছেন। এর আগে আর আসেননি। তিনি মাঝে মাঝে এসে শুধু স্বাক্ষর করে চলে যান।”
অফিস সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি জেলা রেজিস্ট্রার হেলেনা পারভীন ৬টি উপজেলার ৬ জন ট্যাক্স কালেক্টরকে (টিসি) তাদের পছন্দমতো উপজেলায় বদলির সুপারিশ করে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে এ বিষয়ে অফিসের কেউ তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, হেলেনা পারভীন ২০১৬ সালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার পদে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তার ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলিল লিখকরা ধর্মঘট ও মানববন্ধন করেছিলেন। তবে তৎকালীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি সব অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে জেলা রেজিস্ট্রার হেলেনা পারভীন বলেন, “অফিসে আসেন, ফোনে কেন এসব বিষয় জানতে চান? এগুলো জানতে চান কেন?”
শহীদ