ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই ভরসা

​​​​​​​নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:৪১, ১২ জুলাই ২০২৪

নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই ভরসা

.

পাকা সেতু না থাকায় সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের পুরান বৌলাই এলাকায় নরসুন্দা নদীর ওপরে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। নড়বড়ে বাঁশের এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন হাজারো মানুষ। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে পথচারীদের। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সেতু নির্মিত না হওয়ায় আশা ছেড়ে দিয়েছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশের তৈরি নড়বড়ে সাঁকোটি নদীর বুকে দাঁড়িয়ে আছে। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপারে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ এবং নদীর দুই পাড়ে গড়ে ওঠা স্কুল-কলেজ মাদ্রাসাসহ -৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী। স্থানীয় বাসিন্দা নূরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয়রা দাবি জানিয়ে আসলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এলাকাবাসীর আর্থিক সহায়তায় অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো তৈরি করে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। স্থানীয় কাদিরজঙ্গল ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ উদ্দিন আহমেদ কনক বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোটির জায়গায় স্থায়ী পাকা সেতু নির্মাণের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু কিছুতেই কার্যকর কোনো অগ্রগতি করতে পারছি না।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন বলেন, এখানে সেতু নির্মাণের জন্য আমি আগেও চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সাঁকোর এক মাথা করিমগঞ্জের কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নে পড়ায় ওই এলাকাবাসীর বাধার কারণে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন আনার পরেও সেতু নির্মাণ করা যায়নি। তিনি বিষয়টির সমাধানে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করি।

ফটিকছড়িতে কাঠের সেতু

নিজস্ব সংবাদদাতা ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম থেকে জানান, উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের গজারিয়া খালের ওপর পাকা সেতু না থাকায় কাঠের সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে গ্রামের মানুষ। নড়বড়ে সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কয়েক শতাধিক যানবাহন যাতায়াত করে। চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় পথচারীদের। অথচ এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ হলে বদলে যাবে অঞ্চলের অর্ধ লাখ মানুষের জীবনমান। গজারিয়া খালের ওপর নির্মিত অস্থায়ী কাঠের সেতুটি দিয়ে কাঞ্চনা, বড় বেতুয়া, ছোট বেতুয়া, সন্দীপপাড়া, উত্তর বান্দরমারা, দক্ষিণ বান্দরমারা, মুজাহিদপুর, চুড়ামনিসহ আট গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যানবাহন যাতায়াত করে থাকে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে সরকারের বিভিন্ন মহলে চেষ্টা-তদবির চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি গাছের খুঁটির ওপর বিপজ্জনকভাবে দাঁড়িয়ে আছে কাঠের সেতুটি। সেতুটি তুলনামূলক সরু হওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে হয় এক লাইনে। যার কারণে উভয় পাশে হরহামেশা যানজটের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেতুর উভয় পাশে রেলিং না থাকায় দুর্ঘটনা যেন নিত্যসঙ্গী। এমতাবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপারে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ ছাড়াও খালের দুই পাড়ে গড়ে ওঠা স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ চার-পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত  শিক্ষার্থী।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয়রা দাবি জানিয়ে আসলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এলাকাবাসীর আর্থিক সহায়তায় অস্থায়ী কাঠের  সেতু তৈরি করে যাতায়াত করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। দাঁতমারা ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম বলেন, আট গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা কাঠের তৈরি সেতুটি।  মুজাহিদপুর রাস্তার মাথায় একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কারণ এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ হলে কৃষি- নির্ভর অঞ্চলের মানুষের জীবনমান পরিবর্তন হতে সময় লাগবে না। ফটিকছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) তন্ময় নাথ বলেন, গজারিয়া খালের মুজাহিদপুর নামক স্থানে সেতু নির্মাণ সময়ের দাবি। ইতোমধ্যে সেতুটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

×