ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গা-২

আগামী নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা

রাজীব হাসান কচি, চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশিত: ২৩:৪২, ৭ জুন ২০২৩

আগামী নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভারত সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গা-২ আসন

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভারত সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গা-২ আসন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত কার্পাসডাঙ্গা এ আসনের দামুড়হুদা উপজেলায় অবস্থিত। দর্শনায় আছে দেশের একমাত্র মদ উৎপাদনকারী ঐতিহ্যবাহী কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকল। এ আসনের জীবননগর উপজেলায় রয়েছে এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তর দত্তনগর কৃষি খামারের অংশবিশেষ। 
ইসলাম ধর্ম প্রচারক হজরত মেহেরুল্লাহ শাহ্, হজরত পীর শেখ ফরিদ, হজরত রেজা শাহ্ চিশতী, হজরত কুতুব-উল-আলম শাহ্ ও হজরত খোদা ফারাস এর পুণ্যভূমি এ আসনকে মর্যাদাবান করেছে। সীমান্তের ওপারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গেদে এবং এপারে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর কাস্টমস চেকপোস্ট, দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন ও রেলবন্দর এ আসনটির গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। 
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগে প্রতিযোগিতা থাকলেও বিএনপিতে নেই। ২০০৮ সাল থেকে
টানা তিনবার আসনটি রয়েছে আওয়ামী লীগের দখলে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিন মেয়াদে আসনটি ছিল বিএনপির কব্জায়। বর্তমানে নৌকার পক্ষের অনুকূল আসনটি পুনরুদ্ধারে ধানের শীষও নির্বাচনী মাঠে ভেতরে ভেতরে তৎপর। তবে আওয়ামী লীগে ছয়জন মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেও বিএনপিতে রয়েছে মাত্র একজন।
দেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী খ্যাত চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে সদর উপজেলার ৪টি, দামুড়হুদা উপজেলার ৮টি এবং জীবননগর উপজেলার ৮টি অর্থাৎ ২০টি ইউনিয়ন, দুটি পৌরসভা ও তিনটি থানা নিয়ে গঠিত। এ নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটার চার লাখ ৬৮ হাজার ১৭৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ জন এবং মহিলা দুই লাখ ৩১ হাজার ২৭৫ জন। এ আসনের বেশিরভাগ ভোটার কৃষি ও কৃষিকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ও রেলবন্দর সহ অন্যান্য শ্রমিকের সংখ্যাও কম নয়। 
বিগত ১১টি সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ চারবার, বিএনপি চারবার এবং জাসদ (শাহজাহান সিরাজ), জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ সমর্থিত প্রার্থী একবার করে বিজয়ী হয়েছেন। এ হিসাবে আসনটিতে একসময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমানে সমান বলে পরিচিতি পেলেও বর্তমানে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। টানা তিন মেয়াদে নির্বাচিত বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগরসহ আওয়ামী লীগ নেতৃৃবৃন্দের এলাকায় সরব উপস্থিতি ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা-ের কারণে জনসমর্থন বেড়েছে।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ডা. আসহাবুল হক ওরফে হ্যাবা ডাক্তার। ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ২য় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির আবু সাঈদ খান,  ১৯৮৬ সালের ৭ মে ৩য় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন জাসদ (শাহজাহান সিরাজ) প্রার্থী মির্জা সুলতান রাজা। ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ ৪র্থ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান হবি। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৫ম সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মাওলানা হাবিবুর রহমান। 
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত ৬ষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপির হাজী মোজাম্মেল হক। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন ৭ম সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন বিএনপির হাজী মোজাম্মেল হক। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর ৮ম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপির হাজী মোজাম্মেল হক। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৯ম সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের হাজী আলী আজগার টগর। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ১০ম সংসদ এবং সবশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের হাজী আলী আজগার টগর। 
স্থানীয় ভোটার ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, আসনটিতে একসময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জনসমর্থন সমানে সমান বলে পরিচিতি পেলেও বর্তমানে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। টানা তিন মেয়াদে নির্বাচিত বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগরসহ আওয়ামী লীগ নেতৃৃবৃন্দের এলাকায় সরব উপস্থিতি ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা-ের কারণে জনসমর্থন বেড়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জেলা আওয়ামী লীগ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়লেও এ আসনটিতে দলীয় কোন্দল নেই। আছে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের প্রতিযোগিতা। 
অপরদিকে বিএনপিতে দলীয় কোন্দল, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রতিযোগিতা কোনোটিই না থাকায় একমাত্র মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। তবে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রার্থী থাকায় নির্বাচনে আসনটিতে ত্রিমুখী লড়াই হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় নানা ধরনের রাজনৈতিক, সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকা- করে ভোটার ও কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন টানা তিন মেয়াদে নির্বাচিত বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি হাজী আলী আজগার টগর, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, জীবননগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোর্তুজা, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য বিশিষ্ট শিল্পপতি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দৈনিক আমার সংবাদ ও দি ডেইলি পোস্টের প্রকাশক সম্পাদক হাশেম রেজা এবং ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী জেলার প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি দৈনিক সকালের সময়ের প্রকাশক সম্পাদক নূর হাকিম। 
অপরদিকে বিএনপির একমাত্র মনোনয়নপ্রত্যাশী রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট শিল্পপতি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলা আমীর রুহুল আমিন, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জেলা সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) জেলা সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি হাসানুজ্জামান সজিব, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য নবী চৌধুরী ও জাকের পার্টির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ খান যুবরাজ দলীয় সিদ্ধান্ত হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর বলেছেন, এ আসন জামায়াত-বিএনপির আড্ডাখানা ছিল। সেটা ভেঙে একটা পর্যায়ে এনেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ, মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ করে সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন করেছেন, সেটার ধারাবাহিকতা আমি অব্যাহত রেখেছি। ’৭৫ পরবর্তী যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা কোনো উন্নয়নই করেনি। এটা চাক্ষুষ প্রমাণ। 
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার সামাজিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তা, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছে। সে কারণে মানুষ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। নেত্রীর নির্দেশনায় এমন কোনো গ্রাম, পাড়া-মহল্লা নেই যার উন্নয়ন হয়নি। এ আসনে অবশ্যই নৌকা প্রতীকের জয় হবে। এলাকার কোনো উন্নয়ন অবশিষ্ট নেই। এ আসনের জীবননগরের দৌলৎগঞ্জ ও দামুড়হুদার দর্শনায় দুটি শুল্ক স্টেশন আছে। অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে এ দুটি শুল্ক স্টেশনকে বন্দরে রূপান্তরিত করা হবে। দর্শনাকে উপজেলা করার চেষ্টা চলছে। কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকল আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।  এই চিনিকল উন্নয়নে কাজ অব্যাহত রয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, মনোনয়ন চেয়ে আসছি ১৯৯১ সাল থেকে, পাইনি একবারও। আমি হতাশাগ্রস্ত মানুষ নই, বরং সব বিষয় নিয়ে আশাবাদী সবসময়ই। মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়টি নিজের, দেওয়ার মালিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মনোনয়ন বোর্ড। ওনাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এলাকার জনকল্যাণমুখী সকল কাজই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সবটুকু উজাড় করে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চাই।
জীবননগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোর্তুজা জানান, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের ১২ বছর সাধারণ সম্পাদক ও ১৮ বছর সভাপতি ছিলাম। আমি তিনবারের বিআরডিবির চেয়ারম্যান, চারবারের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, একবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছি। তা ছাড়া জীবননগরে যত নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মিত হয়েছে সেগুলো নির্মাণের ক্ষেত্রে আমার প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। আমার মতো রাজনৈতিক ও সামাজিক অর্জন এ জেলায় কম আছে। দলীয়ভাবে যদি মনোনয়ন পাই তাহলে আমি জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমন, মাদকদ্রব্যের ব্যবহার রোধসহ সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখব। আর আমি কারোর জন্য যন্ত্রণাদায়ক ও কষ্টদায়ক নই। মানুষের কষ্টে আমি কষ্ট অনুভব করি। 
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য বিশিষ্ট শিল্পপতি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু বাংলাদেশে নয় এই উপমহাদেশের একটি প্রাচীন ও বৃহৎ রাজনৈতিক দল, মাটি ও মানুষের দল। গতবার আমি দলীয় নমিনেশন চেয়েছিলাম। তখন আমাকে বলা হয়েছিল দলের পাশে থেকে কাজ করতে এবং আগামীর জন্য প্রস্তুত থাকতে। সে হিসাবে আমি শতভাগ আশাবাদী দল এবার আমাকে চুয়াডাঙ্গার মানুষের সেবা করার দায়িত্ব আমাকে দেবে। আমি নির্বাচিত হলে চুয়াডাঙ্গা হবে টেকসই ও স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা। এখানকার বাতাসে থাকবে সুখ-সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের ছোঁয়া।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হাশেম রেজা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। অসহায় গরিব ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাজ করছি। সেজন্য দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। নির্বাচিত হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি নিয়ে কাজ করব। করোনাকালে মানুষের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে যতটুকু পেরেছি খাবার পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছি। জনগণ জানে আমাকে নির্বাচিত করলে এলাকার উন্নয়ন হবে। 
ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী জেলার প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি নূর হাকিম বলেন, দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। ভোটাররা সৎ, যোগ্য ও শিক্ষিত ভালো মানুষ মনে করে আমাকে ভোট দেবে। এজন্য জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।
অন্যদিকে, রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট শিল্পপতি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। যদি ভবিষ্যতে দল কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সেক্ষেত্রে নমিনেশন পাওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করতে চাই। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে চাই যাতে এখানে কৃষি ভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠবে। জেলার অন্তর্গত সব মহাসড়কগুলোকে এক্সপ্রেসওয়েতে পরিণত করতে চাই। যাতে সড়ক দুর্ঘটনা কম হবে। বিশেষায়িত স্বাস্থ্য সেবা যেমন কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিক চিকিৎসা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার যথাযথ ব্যবস্থার উদ্যোগ গ্রহণ করব।

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলা আমির রুহুল আমিন বলেন, দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। এ আসন থেকে নির্বাচিত হলে রাস্তা-ঘাট, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করব। ভোটের অধিকার ভোটাররা ফিরে পেলে জয় হবে ইনশাআল্লাহ। ভোটাররা চায় দুর্নীতিমুক্ত, সৎ, যোগ্য এবং জনগণ যাকে সব সময় কাছে পাবে, এমন প্রার্থীকে তারা ভোট দেবে। সেই বিচারে আমি এগিয়ে থাকব বলে বিশ্বাস করি।

×