ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

তদন্ত কমিটি গঠন

চুয়াডাঙ্গায় গমের চালানে ২৮ বস্তা বালি উদ্ধার  

নিজস্ব সংবাদদতা, চুয়াডাঙ্গা 

প্রকাশিত: ২২:৪৪, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

চুয়াডাঙ্গায় গমের চালানে ২৮ বস্তা বালি উদ্ধার  

গমের পরিবর্তে বালি ও পাথর

চুয়াডাঙ্গায় সদর উপজেলা খাদ্য গুদামে পরিবহন ঠিকাদারের গাড়ি থেকে গম খালাসের সময় গমের বদলে ২৮ বস্তা বালি ও ৬টি বড় ধরনের পাথর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ট্রাকের চালকসহ ১৪ জনকে জিম্মায় রাখা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গায় সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারি বিদেশ থেকে আমদানী করা গমের চালান চুয়াডাঙ্গা খাদ্য গুদামে আসতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার সকালে খুলনা ৪ নম্বর ঘাট থেকে খাদ্য পরিবহন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সরকার এন্টারপ্রাইজ, জোনাকী পরিবহন ও সানরাইজ জুট ট্রেডার্সের ছয়টি ট্রাকে সাড়ে ১৬ মেট্রিক টন করে প্রায় ১০০ মেট্রিক টন গমের চালান আসে। খালাসের সময় ট্রাকগুলো থেকে গমের বস্তার পরিবর্তে ২৮ বস্তা বালি ও ছয়টি  বড় ধরনের পাথর পাওয়া যায়। 

তিনি বলেন, জোনাকী পরিবহনের চট্টগ্রাম মেট্রো ট ১১-৭৮৯৪ নম্বর ট্রাক থেকে সাতটি ও একই প্রতিষ্ঠানের খুলনা মেট্রো ট ১১-২২২৯ নম্বর ট্রাক থেকে ছয় বস্তা বালি, সরকার এন্টারপ্রাইজের খুলনা মেট্রো-ট ১১-০৩৬৩ নম্বর ট্রাক থেকে চার বস্তা ও একই প্রতিষ্ঠানের খুলনা মেট্রো-ট ১১-০৭১৪ নম্বর ট্রাক থেকে পাঁচ বস্তা বালি, সানরাইজ জুট ট্রেডার্সের খুলনা মেট্রো-ট ১১-০৬৯৬ নম্বর ট্রাক থেকে পাঁচ বস্তা বালি ও একই প্রতিষ্ঠানের ঢাকা মেট্রো ট ১৪-৬১৭৭ নম্বর ট্রাক থেকে ছয়টি বড় ধরনের পাথর পাওয়া যায়। এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ট্রাকের চালকসহ ১৪ জনকে জিম্মায় রাখা হয়েছে। 

ট্রাক চালক আসাদ জানান, খুলনার ৪ নম্বর ঘাটে ট্রাকে গম লোডের সময় চাকায় দিতে বালির বস্তা লাগে, তাই আমরা বালির বস্তা গাড়িতেই রেখেছিলাম।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কেএম শহিদুল হক বলেন, এ দিন ভোর রাতে ছয়টি ট্রাক গম নিয়ে খুলনার রূপসা ৪ নম্বর ঘাট থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা খাদ্য গুদামে আসে। সকাল ৯টায়  ট্রাক থেকে গম খালাস করার সময় গমের সঙ্গে বের হতে থাকে বালির বস্তা ও পাথর। এ ঘটনা পর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আলমডাঙ্গা উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হামিদকে প্রধান করে সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক নাসরিন বানুকে নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সোমবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমএইচ

×