ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাদ্রাসা মাঠে অনুমতি মেলেনি

রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশ নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ২৩:৫৭, ২৯ নভেম্বর ২০২২

রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশ নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে

রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই উত্তেজনা বাড়ছে

রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই উত্তেজনা বাড়ছে। এই বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগও মাঠে নেমেছে।
একদিকে সমাবেশ সফল করতে বিএনপি মাঠের রাজনীতি শক্ত করার চেষ্টা করছে তো অপরদিকে রাজশাহী আওয়ামী লীগও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে। দুই দলই মাঠে নেমেছে নিজ নিজ বলয় থেকে। পাল্টাপাল্টি আওয়াজ দিচ্ছেন তারা।

বিএনপি বলছে, রাজশাহীর গণসমাবেশ হবে ঐতিহাসিক। আর আওয়ামী লীগ বলছে, রাজশাহীর মাটিতে রাজনীতির নামে কাউকে অপরাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। এ নিয়ে মূলত রাজশাহীতে এখন উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে এরই মধ্যে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্র্রাসামাঠে মঞ্চ ও প্যান্ডেল করতে গিয়ে পুলিশের বাধায় পড়েছে বিএনপি। পুলিশ বলছে, এখনো বিএনপি গণসমাবেশ করার জন্য মাদ্রাসামাঠে অনুমতি পায়নি। সর্বশেষ মঙ্গলবার বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপি নেতাদের জন্য থাকার জায়গা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে বিএনপি। পুলিশ বিএনপিকে স্থাপনা করতে দেয়নি।
রাজশাহী নগর পুলিশের ভাষ্য, অনুমতি না নিয়েই গণসমাবেশের মঞ্চ নির্মাণকাজ করায় পুলিশ তাতে বাধা দিয়েছে। তবে আগামী ৩ ডিসেম্বর নগরের মাদ্রাসামাঠে গণসমাবেশের আয়োজন করতে চায় বিএনপি। বর্তমানে ওই মাঠে তালা ঝুলিয়ে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গত সোমবার সকালে মাঠে মঞ্চ নির্মাণের জন্য ডেকোরেটরের লোকজন গেলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে এ নিয়ে জেলা ও নগর বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে গণসমাবেশের মঞ্চ নির্মাণের বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন বিএনপির নেতারা।
রাজশাহী জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত বলেন, ‘আজ পর্যন্ত আমাদের মাঠ দেওয়া হয়নি। মাদ্রাসামাঠে পুলিশ তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। আমরা আবেদন করেছি, কিন্তু এখনো মাঠ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ ককটেলের নামে নতুন সন্ত্রাস তৈরি করছে। নয়টি উপজেলায় মামলা হয়েছে। সেই মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তারবাণিজ্য করছে।

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, ‘রাজশাহী জেলার সব থানায়ই মামলা দেওয়া হয়েছে। সেই মামলাগুলোর নকল দেওয়া হচ্ছে না। আবেদন করার পরও সেটা পাচ্ছি না। বিদেশে থাকা নেতাকর্মীদের নামেও মামলা হয়েছে। জেলার বাইরে যারা আছেন, তাদের নামেও মামলা হচ্ছে। তবে যত বাধাই আসুক, আমরা এই সমাবেশ করব।’
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগর পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেবে জেলা প্রশাসন। সমাবেশ ও মাইক ব্যবহারের অনুমতি দেয় পুলিশ। আমার জানামতে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিএনপি মাঠ ব্যবহারের অনুমতি পায়নি। আর সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। অন্য জায়গায় সমাবেশের দুই/তিন দিন আগে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীতে এখনো চার দিন সময় আছে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, মাঠ ব্যবহারের জন্য জেলা প্রশাসনের অনুমতি লাগবে। আমি শুনেছি, বিএনপির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখনো সেটা হাতে পায়নি। আবেদনপত্র পেলে দেখব বিএনপি কী শর্তে মাঠটি চেয়েছে। তারপর সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

×