
চাঁনবরু বেগম স্মৃতি পাঠাগার
পটুয়াখালীর বাউফলের মদনপুরা ইউনিয়নের একটি অজপাড়া গাঁয়ে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে চাঁনবরু বেগম স্মৃতি পাঠাগার। স্থানীয় জহিরুল হক খান ও সবুর খান নামের দুই ভাই তাদের মায়ের নামে ২০১৯ সালে এই পাঠগারটি স্থাপন করেন।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এলাকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ছাড়াও নানা বয়সের মানুষ পাঠাগারে কম্পিউটার চালানো শিখছে,বই ও পত্রিকা পড়ছেন। মাঝপাড়া গ্রামের মানুষের কাছে পাঠাগাড়টি এখন আলোর বাতিঘর নামে পরিচিতি পেয়েছে।
এই পাঠাগারটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জীবনী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, কবিতা, নাটক, ছোট গল্প, ভ্রমণকাহিনী, বিজ্ঞানভিত্তিক বই, কম্পিউটার শিক্ষা, খেলাধুলা ও রম্য রচনাসহ প্রায় পাঁচ হাজার বই রয়েছে। প্রতিদিন দুটি দৈনিক ও আঞ্চলিক পত্রিকা এবং সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন রাখা হয়। জ্ঞান চর্চার জন্যে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বই নিয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ রয়েছে। সার্বক্ষণিক পাঠাগারটিতে একজন অফিস সহায়ক ও নাইট গার্ড রয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পাঠাগারটিতে এলাকাবাসীর পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে ।
মদনপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মস্তফা মাস্টার বলেন, অজপাড়া গাঁয়ের এ জনপদে শিক্ষার আলোকে প্রসারিত করতে জহিরুল হক খান ও সবুর খান তার মায়ের নামে যে পাঠাগারটি স্থাপন করেছেন তা এখন এলাকার শিক্ষক,শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার মানুষের কাছে আলোকবর্তিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
সোনামুদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন, স্কুল,কলেজ শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মাঝে পাঠাগারটি আলোর বাতিঘর হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এই পাঠাগারটি খোলা থাকে।
তিনতলা বিশিষ্ট চাঁনবরু বেগম পাঠাগারের, দ্বিতীয়তলায় মমিন উদ্দিন খান বিজ্ঞানাগার, ও তৃতীয় তলায় চাঁনবরু মমিন উদ্দিন ফাউন্ডেশন নামের আরও দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখান থেকে গরীব শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার জন্য উপবৃত্তিসহ নানা সহযোগিতা দেয়া হয়।
এসআর