নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ জেলা সদরের ফলিমারী সীমান্তে ধরল নদীর দ্বীপ চর ভেসে উঠা যুবকের পরিচয় ৩দিন পর আজ বুধবার ভারতীয় ৯০ গীতালদহ বিএসএফ নিশ্চিত করেছে। ভারতীয় যুবক আনারুল (৩৫)। গরু পাচারকারী চক্রের সদস্য।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি'র মোগলহাট বিওপি ক্যাম্পের অধিনে (সীমান্ত পিলার ৯২৩ হতে ১.৫ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে) ধরলা নদীর ফলিমারী দ্বীপ চরে গত ৫ ডিসেম্বর বিকালে ভারত হতে এক যুবকের লাশ ভেসে আসে। মৃতের শরীরের পিছনে ঘাড়ে রাইফেলর বাট দিয়ে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। তার চোয়ালের প্রায় সব দাঁত ভারি কিছুদিয়ে আঘাত করে ভেঙ্গে দেয়া হয়েছিল।
তিনদিন পর তার পরিচয় মিলেছে। হতভাগ্য যুবক আনারুল মিয়া (৩৫)। ভারতের কুচবিহার জেলার ডিনহাটা থানার তাউপই গ্রামের আফজাল হোসেনের পুত্র। তার পরিবার পরিজনের দাবি তাঁকে বিএসএফ নির্যাতন করে মেরে ফেলে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে।
বিজিবি'র সহায়তায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। মঙ্গলবার রাতে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে আজ বুধবার লাশ রংপুর মর্গে সংরক্ষণ করতে পারানো হয়েছে। ভারতের ৯০ বিএসএফ গীতালদহ ক্যাম্পের সদস্যদের নির্যাতনে সে মারা যায়। সীমান্ত গ্রাম সূত্রে জানা যায় সে ভারতীয় গরু পাচারকারী দলের সদস্য ছিল। সদর থানার ওসি শাহ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।