নিজস্ব সংবাদদাতা, শ্রীমঙ্গল ॥ পর্যটকদের কাছে এখন অন্যতম আকর্ষন লাল টিলার কালি মন্দির! অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার অর্ধশতাধিক দর্শনীয় স্থানের মধ্যে এই মন্দিরটি আগত পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষন করে থাকে। চারিদিকে পাহাড় টিলা আর চা বাগানের সবুজের সমারোহ। সেই সবুজ বাগানের মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে একটি আকাঁবাকা লাল মাটির রাস্থা। যে রাস্থার মাটির রং লাল। আর এই লাল মাটির রাস্থা ধরে পাহাড়ের একটু উপরে উঠলেই চোঁখে পড়ে লাল টিলার কালি মন্দিরটি।
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দুরে ফুলছড়া চা বাগানের পাঁচ নম্বর সেকশনের লাল টিলায় এই কালী মন্দিরটির অবস্থান। মাটির রং লাল হওয়ায় স্থানীয়দের কাছে জায়গাটি লাল টিলা নামে পরিচিত হলেও অনেকে বলেন কালি টিলা। এ জন্য এটি লালটিলা ও কালিটিলা দুই নামেই পরিচিতি পেয়েছে।
সমতল থেকে প্রায় ১০০ ফুট উপরে টিলার ওপর মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে। টিলায় উঠার জন্য পাহাড় কেটে বানানো হয়েছে রাস্তা। দুপাশে সারি সারি চা বাগান পেরিয়ে চোখে পড়বে দুর্গম পাহাড়। আর এই পাহাড়ের ভিতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কালিটিলার কালী বাড়ির চূড়ায় উঠতে হয়। সরেজমিন কালীটিলার কালীবাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড় পেরিয়ে টিলার মন্দিরে উঠে প্রথমেই দর্শনার্থীরা কালীমাতাকে দর্শন করেন। তারপর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে হারিয়ে যাচ্ছেন। চারদিকে শুধুই সবুজের সমারোহ। টিলা থেকে মনে হয় দূরের আকাশ যেন মাটিতে মিশেছে। বর্তমানে প্রতি দিনই এখানে অসংখ্য ভক্ত আর পর্যটকদের সমাগম হচ্ছে। কেউ আসছেন মানত করতে, কেউবা এসে মনোবাসনা পূর্ণ হওয়ায় কালীমাতাকে পূজা দিচ্ছেন আর পর্যটকরা নিচ্ছেন অপরূপ সৌন্দর্যের স্বাদ।
তবে আগত অনেক দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে পানির কোন ব্যবস্থা না থাকায় এত উচু যায়গায় উঠে অনেকেই পানির জন্য সমস্যায় পড়েন। তাছাড়া পাহাড়ের চুড়ায় উঠার রাস্থাটি চলাচলের জন্য খুবই বিপদজনক। তাই এখানে যদি খাবার পানির জন্য একটি গভীর নলকুপ স্থাপন এবং রাস্থা মেরামত করা হলে দর্শনার্থীদের কষ্ট লাঘব হবে ।