ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তানভির আহমেদ

এ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ১৫ অক্টোবর ২০১৮

 এ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে

কম বয়সীদের মধ্যেও এই রোগের প্রসার চোখে পরার মতো বেড়েছে। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে ৩০-৫০ বছর বয়সীদের বেশিরভাগই ক্রনিক এ্যাসিডিটি সমস্যার শিকার। এদের ক্ষেত্রে গরমকাল বা ঝাল মসলা দেওয়া খাবার খাওয়ার কারণেই যে একমাত্র এমন রোগ দেখা দিচ্ছে, তা নয় কিন্তু! তাহলে আজকের ইয়ং জেনারেশনের সিংহভাগই বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। তাদের পছন্দ এখন শুধু ফ্রাইড খাবার। শুধু তাই নয়, খাবার খাওয়ার সময়েরও কোন ঠিক নেই। সকাল ৯ টায় যদি ব্রেকফাস্ট করে, তাহেল দুপুরের খাবার খায় বিকাল ৪ টার সময়। আর রাতের খাবার তো ঘড়ির কাঁটাকে তোয়াক্কাই করে না। কখনও রাত ১২ টা, তো কখনও ১ টা। এমন অস্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং জীবন প্রণালীর কারণেই তো যুব সমাজের মধ্যে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা এত মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। এ্যাসিডিটির পিছনে মূল যে কারণটি দায়ী থাকে তা হলো খালি পেট। আসলে দিনের বেশিরভাগ সময়ই যদি পেট খালি থাকে, তাহলে স্টমাক-এ উপস্থিত এ্যাসিডিটিগুলো খারাপ প্রভাব ফেলে। যে কারণে এ্যাসিড রিফ্ল্যাক্স, বদহজমসহ নানাবিধ ডাইজেস্টিভ প্রবলেম দেখা দেয়। এমন রোগের হাত থেকে বাঁচার উপায় কী? রাস্তা তো আছেই! আপনার রান্না ঘরে মজুত কিছু খাবারকে এক্ষেত্রে কাজে লাগান। দেখবেন এমন রোগ আর কোনও দিনই আপনাকে ছুঁতে পারবে না। বিশেষত কম বয়সীদের কাছে অনুরোধ, বহুদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে দয়া করে আজ থেকেই এ্যাসিডিটির চিকিৎসা শুরু করুন। না হলে কিন্তু বিপদ! এক্ষেত্রে যে যে খাবারগুলো এই ধরনের রোগ সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলো দেখে নিন- তুলসি পাতা : একেবারে ঠিক শুনেছেন। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমাতে তুলসি পাতা দারুণ কাজে আসে। এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা খুব অল্প সময়ে এ্যাসিডিটিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তাই তো নিমেষে আরাম পেতে ৩-৫টি তুলসি পাতা জলে ভিজিয়ে, সেই জল ফুটিয়ে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন চোখের পলকে এ্যাসিডিটি কমে যাবে। আদা : গ্যাস-অম্বল হলেই এক পেয়ালা আদা চা খেয়ে নেবেন। তাহলেই দেখবেন গ্যাস-অম্বল একেবারে কমে যাবে। আসলে আদায় উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান এ্যাসিডিটি-এর সমস্যা নিমেষে কমিয়ে ফেলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ডাবের পানি : গরমের সময় শরীরে পানির ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি স্টমাক এ্যাসিডের ক্ষরণ স্বাভাবিক করতেও ডাবের পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, শরীরে উপস্থিতি অতিরিক্ত এ্যাসিডকে বের করে দিতেও এই প্রাকৃতিক পানীয়টি সাহায্য করে। তাই তো এ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিন ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। বাটার মিল্ক : শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি এই পানীয়টি স্টমাক এ্যাসিডের কার্যকারিতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে এ্যাসিড রিফ্ল্যাক্স বা গলা জ্বালা করার মতো সমস্যা কমে যায়। তাই তো এবার থেকে এমন ধরনের অসুবিধা দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস বাটার মিল্ক খেয়ে নেবেন। দেখবেন নিমেষে সমস্যা কমে যাবে। এক্ষেত্রে বাটার মিল্ক বানানোর সময় তাতে দই এবং অল্প করে নুন মিশিয়ে তারপর খাবেন। তাতে বেশি উপকার মেলে। বাদাম : আপনি কি প্রায়শই এ্যাসিডিটি সমস্যায় ভুগে থাকেন? তাহলে খাবার পরপরই ২-৩টি বাদাম খেয়ে নেবেন। তাহলেই দেখবেন এমন ধরনের রোগে আর আক্রান্ত হবেন না। ফলে গ্যাস-অম্বলের কষ্ট একেবারে কমে যায়। এ্যালোভেরা : প্রচুর পরিমাণে খনিজ থাকার কারণে ত্বককে সুন্দর রাখার পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি। শুধু তাই নয়, এ্যালোভেরায় উপস্থিত এ্যাসিড, স্টমাকে উৎপন্ন এ্যাসিডের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ফলে এ্যাসিডিটির সমস্যা একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
×