ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

‘উড়ছে পাকিস্তান’, বক্তব্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১ জুন ২০২৫; আপডেট: ০৫:২৯, ১ জুন ২০২৫

‘উড়ছে পাকিস্তান’, বক্তব্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার পাল্টাপাল্টি হামলায় পাকিস্তানের অভিযানকে নিজেদের ‘সামরিক বিজয়’ হিসেবে দেখছে দেশটি। এছাড়া, পাকিস্তানের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে কেন্দ্র করে শনিবার (৩১ মে) এক আত্মবিশ্বাসী বক্তব্য দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। বেলুচিস্তানে কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ কোয়েটায় দেওয়া ওই ভাষণে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান এখন আকাশে উড়ছে (Flying high), সামরিক ও অর্থনৈতিক—দুই দিক থেকেই।’

পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ তাঁর ভাষণে আরও বলেন, ‘আমরা এমন এক শত্রুর বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছি, যাকে অনেকেই অজেয় মনে করত। কিন্তু আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছি। এটি পাকিস্তানের ইতিহাসের গর্বের বিষয়।’

তিনি জানান, ভারতের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস’ নামে চালানো প্রতিরোধ ব্যবস্থা শত্রুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে এবং তাদের সামরিক শক্তির ‘মিথ’ ভেঙে দিয়েছে।

‘ভারত এমন চাপে পড়ে গেছে যে, তারা ভুয়া ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে বাধ্য হয়েছে,’ বলেন শেহবাজ শরীফ। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভারতের বিরুদ্ধে সম্পর্কের নতুন ধারা প্রতিষ্ঠা করেছি, যেখানে তাদের অহংকারী আচরণ আর সহ্য করা হবে না।’

ভারতকে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ভারত যদি সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি (IWT) অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে, তবে তা হবে পাকিস্তানের জন্য রেড লাইন।’

অর্থনীতিতেও ঘুরে দাঁড়ানোর দাবি, মূল্যস্ফীতি ‘শূন্যের কোটায়’

সামরিক সাফল্যের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘২০২২ সালে এমন সময় ছিল যখন আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলো আমাদের এলসি (Letters of Credit) গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন দেশ একপ্রকার অর্থনৈতিক ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে ছিল।’

তবে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে প্যারিসে আয়োজিত বৈঠকের মাধ্যমে আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি করে সেই সঙ্কট এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।

২০২৪ সালে ক্ষমতায় এসে প্রশাসন দ্রুত সংস্কারমুখী পদক্ষেপ নেয় এবং আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের বিশ্বাস অর্জন করে। ‘আমরা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাইনি। জনগণের রক্ত, ঘাম ও ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা ফল পাচ্ছি,’ বলেন শেহবাজ।

তিনি জানান, পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি ৩৮ শতাংশ থেকে নেমে শুধু ০.৩ শতাংশে এসে ঠেকেছে, সুদের হার কমেছে ২২.৫ শতাংশ থেকে ১১ শতাংশে, রুপির মান স্থিতিশীল, এবং মুদ্রার রিজার্ভ এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

এছাড়া, পাক প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটা কেবল শুরু। সামনে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে—পাহাড়, নদী পার হতে হবে। কিন্তু জাতির প্রতি অঙ্গীকার ও জনগণের ভালোবাসাই আমাদের শক্তি। আর তার জন্য লাগবে—ত্যাগ, ঘাম এবং রক্ত।’

 

তথ্যসূত্র: ডন

রাকিব

×