
ছবি: সংগৃহীত।
চুলে কোঁকড়ানো স্টাইল চাইলেই করতে পারেন এখন ঘরে বসেই, তাও কোনো পার্লারে না গিয়ে। স্টাইলিশ চুলের জন্য নানা ধরনের কেমিকেল বা ডিভাইস ব্যবহার করা হলেও, চুলের ক্ষতি না করে সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করা যায় আকর্ষণীয় কোঁকড়ানো হেয়ারস্টাইল।
সৌন্দর্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশেষ করে উৎসব বা অনুষ্ঠানমুখর পরিবেশে নারীরা চুলে নতুন ঢং আনতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এমন সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ঘরোয়া পদ্ধতিতে হেয়ার কার্লিং।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কয়েকটি সাধারণ উপকরণ ব্যবহার করে ঘরেই সহজে চুল কোঁকড়ানো যায়।
যেমন:
ব্রেইডিং (চুলে বেঁধে রাখা): চুল সামান্য ভেজা অবস্থায় একাধিক ভাগ করে বেঁধে রাখুন। সারারাত রেখে সকালে খুললে চুলে স্বাভাবিক কোঁকড়ানো ভাব চলে আসবে।
রোলার বা প্যাপার কার্লার: বাজারে পাওয়া যায় এমন রোলার রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করে রাখা যায়। সকালে খুলে পেলেই তৈরি চুলের ঢেউ।
ব্লো-ড্রাই আর হিট-ফ্রি পদ্ধতি: হিটিং ডিভাইস ছাড়াও হেয়ার জেল বা হেয়ার মুস ব্যবহার করে হাতের সাহায্যে চুলে কার্ল তৈরি করা যায়।
চুল কোঁকড়ানোর সময় অতিরিক্ত গরম ডিভাইস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে।
চুলের যত্ন নিয়ে কাজ করা বিউটি ব্লগারদের মতে, প্রাকৃতিকভাবে চুল কোঁকড়ানো গেলে স্টাইল যেমন আসে, তেমনি চুলের স্বাস্থ্যও অক্ষুণ্ণ থাকে। সপ্তাহে একবার নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে চুল থাকে মসৃণ ও মজবুত।
ফ্যাশন জগতে সাম্প্রতিক ট্রেন্ড বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সোজা চুলের চেয়ে হালকা ঢেউ বা কোঁকড়ানো স্টাইলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। বিশেষ করে তরুণীদের মধ্যে এ ধরনের লুকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
চুলে নতুনত্ব আনতে আগ্রহী যেকোনো বয়সী নারীই সহজে ঘরে বসে এই স্টাইল চেষ্টা করতে পারেন। সঠিক উপায়ে করা হলে চুল থাকবে স্টাইলিশ, স্বাস্থ্যকর এবং ঝলমলে।
মিরাজ খান