
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ
তীব্র তাপ প্রবাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। সূর্যের প্রখরতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রাণীগুলো ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে সড়কে মানুষের উপস্থিতি কম। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না।
শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যা ৬ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৪৬ ভাগ। বেলা ৩ টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ। আজ শুক্রবার এটিই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, মাঝারি থেকে তীব্র তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। সূর্যের প্রখরতায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শুক্রবার দুপুর ৩ টায় ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে জনজীবনে গরম অনুভূত হচ্ছে। গরমের কারণে মানুষ অনেক কষ্টে রয়েছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা হ্রাস পাবে না। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের ভ্যানচালক রহিম বলেন, ‘সকালে ভ্যান নিয়ে ভাড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। সূর্য ওঠার পর থেকেই গরম হচ্ছে বেশি। সড়কে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। ভাড়াও কম, পেটের দায়ে ভাড়ার জন্য বাইরে রয়েছি। গরিবের আবার গরম আছে। বেশি গরম লাগলে গাছের নিচে বসে একটু জিরিয়ে নিচ্ছি।’
দর্শনার স্কুল শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির দেখা নাই। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ার কারণে গরম অনুভূত হচ্ছে। গরমের কারণে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করা কষ্ট হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছি না।’
চুয়াডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের কৃষক ইখলাস হোসেন বলেন, ‘ভোরে জমিতে কাজের জন্য মাঠে যাচ্ছি। কিন্তু অল্প সময় পরে সূর্যের তাপের কাছে টেকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। মাঠে কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। জমিতে সকালে সেচ দিলে বিকালে শুকিয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে ফসলের ফলন কম হবে।’
মিরাজ খান