
আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অব কন্ট্রোল) বরাবর।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত থেকে শুরু হওয়া গোলাগুলি এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় দু'দেশের মধ্যে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও প্রথমিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ করছে।
শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বদলে এই পরিস্থিতি আবারও দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।
বৃহস্পতিবার রাতেই পাকিস্তান ভারতের বেশ কিছু এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। হামলার লক্ষ্য ছিল কাশ্মীরের উধমপুর এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোটের তিনটি সামরিক ঘাঁটি।
এরপরই শুক্রবার (৯ মে) সকালে কুপওয়ারা ও উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ব্যাপক গুলিবর্ষণ শুরু করে পাকিস্তানি সেনারা। ভারতও এর ‘যথাযথ জবাব’ দিয়েছে। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ বলেন, ভারতের হামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং পাকিস্তান এর সঙ্গে জড়িত নয়।
এ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে ফোন করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক রুবিও। সেখানে শেহবাজ জানান, ভারতের সাম্প্রতিক আক্রমণ পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন, যা এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা মারাত্মকভাবে বিপন্ন করছে। তিনি বলেন, আত্মরক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে। এর মধ্যেই সীমান্তবর্তী অঞ্চলে রাতভর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন (ব্ল্যাকআউট) ছিল। ভারতীয় সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানের পাল্টা গোলাবর্ষণে ১৬ জন ভারতীয় নিহত হয়েছে। পরিস্থিতি যেভাবে দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, তাতে ভবিষ্যতে বড় পরিসরের সংঘর্ষের ঝুঁকি একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
সূত্র: এনডিটিভি
ফুয়াদ