
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ
পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু’র বিরুদ্ধে একটি পত্রিকায় মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে পিরোজপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু।
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, গত ১০ মে ২০২৫ তারিখ জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকার তার বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সমূহ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ,বানোয়াট ও কাল্পনিক। একটি কুচক্রী মহল ও তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কিছু আওয়ামী লীগের দোসর তাকে রাজনৈতিক ভাবে এবং সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন ও রাজনৈতিক ভাবে ক্ষতি করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।
লিখিত বক্তব্য তিনি আরো বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে তার একাধিক গাড়ি তা সঠিক নয়। প্রকৃত পক্ষে তার গাড়ি সংখ্যা একটি এবং তিনি প্রথম ২০০৫ সালে একটি গাড়ি ক্রয় করে এবং পরে ২০১৩ সালে ঐ গাড়ি পরিবর্তন করে আরেকটি গাড়ি ক্রয় করে এবং বর্তমানে তিনি সেই গাড়িটি ব্যবহার করছে। এছাড়া তার নামে কোনো নিজস্ব গাড়ি নেই। সংবাদে প্রকাশিত যে গাড়ির কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে আগুনে তার গাড়ি পুড়েছে তাও সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। প্রকাশিত সংবাদে তার নিকট আত্মীয় নামের গাড়ি ও গাড়ির ব্যবসাকে তার নামে দেখানো হয়েছে। তাও চরম মিথ্যাচার ও বানোয়াট । প্রকৃতপক্ষে তার আত্মীয়রা দীর্ঘদিন যাবত প্রবাসে তাদের বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যে করেছে। তাই তারা দীর্ঘ ২৪ বছর যাবত ইতালি এবং সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। তার ছেলে বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীতে কলেজে পড়ালেখা করে তার কোন ব্যবসা বা ব্যাবসায়িক পাটনার নাই। আমার নামে কোনো ইটভাটাও নাই।
সংবাদে তার নামে যে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে তাও বানোয়াট ও কাল্পনিক। তিনি ভান্ডারিয়া বা পিরোজপুর সদর এমনকি জেলার কোন স্থানে কোন কাজের টেন্ডারের বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ করে নাই।
পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপি ও তার অংশ সংগঠনের কমিটি গঠন করা হচ্ছে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনায় কোন প্রকার অনিয়ম বা অর্থনৈতিক বা ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ দেখা হয়নি কমিটি গঠনে। বিএনপির প্রতি ত্যাগ ও বিগতদিনের রাজনৈতিক ভূমিকার বিচারে এ কমিটি গুলো দেয়া হয়েছে। এছাড়া বহিষ্কারের বিষয়ে যে সকল কথা বলা হয়েছে তাও মিথ্যা। যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তা কেন্দ্র থেকে এবং ছাত্রদলের নিজস্ব বিষয়। এই বহিষ্কারেরও তার কোনো হস্তক্ষেপ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে যাওয়ার সেতু সংসদ ভবন এলাকা থেকে খুলে নিয়ে যাওয়া হয় সিলেটে। এই সেতু খুলে নেয়ার বিষয়ে তিনি বা তার বড় ভাই কোন ভাবেই জড়িত নন। কাল্পনিক ভাবে এই ঘটনায় তাদের নাম জড়ানো হয়ে। এছাড়াও সংবাদে কিছু মনগড়া ও অনুমান নির্ভর তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে যা একজন মানুষের মানহানির শামিল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আ: ছালাম বাতেন, সদস্য শেখ শহিদুল্লাহ শহী, সদস্য হাসানুল কবির লীন, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন টিপু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক শরিফ হোসেন মনি, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইমদাদুল হক মাসুদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন কুমার সহ জেলা বিএনপির,যুবদল,স্বেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিকদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
ফারুক