
ছবি : সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “আমরা শাহাবাগে কেন যাবো? আমাদের দাবিতে আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে অনেক আগেই লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছি। বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও অনুষ্ঠানে বারবার বলেছি। আমরা আমাদের বক্তব্য বহুবার পুনরাবৃত্তি করেছি।”
তিনি বলেন, “দলের পক্ষ থেকে আমরা কয়েক মাস আগেই লিখিতভাবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি জানিয়েছিলাম, যে আওয়ামী লীগকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে হবে। যদি সেই সময়ে বিষয়টি আমলে নেওয়া হতো, তাহলে হয়তো আজ এই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে সরকারকে পড়তে হতো না।”
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিশ্বের বহু দেশে নজির রয়েছে , যেসব দল ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকে, তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। জার্মানি ও অন্যান্য দেশে এমন উদাহরণ আছে। আওয়ামী লীগও গণহত্যা ও নিপীড়নের মাধ্যমে একটি মাফিয়া ও ফ্যাসিবাদী শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক স্বীকৃতি এখন আর নেই। এদেশের মানুষও তাদের ফ্যাসিবাদী দলে পরিণত হয়েছে বলেই মনে করে।”
তিনি বলেন, “আমরা দেরিতে হলেও সরকারকে স্বাগত জানাই যে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করছে। তবে ভবিষ্যতেও আমরা আশা করি, সরকারের কাছে আমাদের পরামর্শগুলো সময়মতো আমলে নেওয়া হবে। আমরা দেশের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সারা দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহী। এজন্য আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে আগেও অনুরোধ করেছি, যেন দ্রুত একটি রোডম্যাপ দেন। না হলে বিব্রতকর পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠনের সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার জন্য সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে। এই আইনে কিছু সংশোধনী আনতে হবে যাতে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায়। এধরনের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।”
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আওয়ামী লীগের ডিএনএতেই গণতন্ত্র নেই। তারা দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদ ও মাফিয়া তন্ত্রের চর্চা করেছে। এখন তারা একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং একটি মাফিয়া সংগঠন। তাদের আর রাজনৈতিক দলের তকমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।”
আঁখি