ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

পাকিস্তানের কাছে যেকারণে নাজেহাল ভারতের বিমান বাহিনী

প্রকাশিত: ০৮:১৬, ১২ মে ২০২৫

পাকিস্তানের কাছে যেকারণে নাজেহাল ভারতের বিমান বাহিনী

ছবি : সংগৃহীত

২০২৫ সালের মে মাস। দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে যেন যুদ্ধের ঘনঘটা। ভারত চালু করল ‘অপারেশন সিন্দুর’—এক উচ্চাভিলাষী সামরিক অভিযান। উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের ভেতরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা এবং সামরিক দিক থেকে একপ্রকার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে কৌশলের চেয়ে আত্মবিশ্বাসে ভর করেই ভারতে গিয়ে ধরা খেল ভারতের বিমান বাহিনী।

 

 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে শুরু হওয়া এই অভিযানে প্রথমেই পাঠানো হয় রাফাল, সুখোই এবং মিগ যুদ্ধবিমান। লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটি ও কৌশলগত স্থাপনাগুলো। অভিযানের নাম দেয়া হয় ‘অপারেশন সিন্দুর’, যেন শত্রুর কপালে ‘সিদুরের’ দাগ আঁকা যায়। কিন্তু ফল হয়েছে তার বিপরীত।

 

 

রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬ ও ৭ মে রাতের মধ্যেই পাকিস্তান অন্তত পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে ছিল তিনটি ফরাসি নির্মিত রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সুখোই। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি অনুযায়ী, এটি ছিল ভারতের আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া এবং আত্মরক্ষার অংশ।

ভারত সরকার যদিও পাকিস্তানের এই দাবি অস্বীকার করে বলেছে যে, উপস্থাপিত ছবি ও ভিডিও পুরনো এবং বর্তমান ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারতের আক্রমণ পরিকল্পনায় ছিল একাধিক গাফিলতি।

 

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আধুনিকীকরণে ব্যাপক অগ্রগতি করেছে। চীন থেকে আনা JF-17 ব্লক ৩ যুদ্ধবিমান এবং HQ-9B মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অনেকটাই শক্তিশালী করেছে। অন্যদিকে, ভারতের বিমান বাহিনী এখনো অনেক ক্ষেত্রে সোভিয়েত যুগের পরিকল্পনার উপর নির্ভরশীল। যদিও রাফাল বিমান কিছু আধুনিকতা এনেছে, কিন্তু ড্রোন সমর্থিত অভিযানে ও ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারে ভারত এখনো পিছিয়ে।

 

 

পাকিস্তান সফলভাবে ড্রোন হামলা, সাইবার আক্রমণ এবং মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের কৌশল একত্রে ব্যবহার করেছে, যা ভারতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতের সামরিক পদক্ষেপ যথেষ্ট সমর্থন পায়নি। পাকিস্তান তাদের পাল্টা হামলাকে আত্মরক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরে *মুসলিম বিশ্ব এবং কিছু প্রভাবশালী রাষ্ট্রের সমর্থন আদায়ে সফল হয়েছে।

ভারতের পক্ষে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা ছিল নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের অভাব। এর ফলে ভারতের একাধিক হামলা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় এবং কিছু বেসামরিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হয়েছে।

যুদ্ধকালীন সময়ে পরপর বিমান হারানো যেকোনো বাহিনীর মনোবলে বিরূপ প্রভাব ফেলে। আর সেই ফাঁকেই পাকিস্তান দ্রুত পাল্টা আক্রমণ ও ড্রোন চাপে মনস্তাত্ত্বিক জয় অর্জন করে। ফলে ভারতের বিমান বাহিনীকে রক্ষণাত্মক অবস্থানে যেতে হয়।

 

 

 

এই পুরো অভিযানে ভারতের বিমান বাহিনীর মুখোমুখি হওয়া ব্যর্থতা শুধু সামরিক নয়, কূটনৈতিক এবং মনস্তাত্ত্বিক ক্ষেত্রেও বড় ধাক্কা। যুদ্ধের ময়দানে আধুনিক প্রযুক্তি, গোয়েন্দা তথ্য এবং কৌশলগত মনোভাবের গুরুত্ব আরও একবার সামনে এসেছে। ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভারতকে বিমান প্রযুক্তি, ইন্টেলিজেন্স ও সমন্বিত অভিযানের কৌশল-এ আমূল পরিবর্তন আনতেই হবে।

আঁখি

×