ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

বিতর্কিত স্লোগানের প্রমাণ দেখালেন রুমিন ফারহানা, তাহসীন বলছেন ‘এডিট’!

প্রকাশিত: ০৮:৫৫, ১২ মে ২০২৫

বিতর্কিত স্লোগানের প্রমাণ দেখালেন রুমিন ফারহানা, তাহসীন বলছেন ‘এডিট’!

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে মুখোমুখি হন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব তাহসীন রিয়াজ।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যখন স্লোগান দিচ্ছিল, তখন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আওয়ামী লীগকে ‘গণহত্যাকারী’ দল হিসেবে অভিহিত করে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার এনসিপির প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। পরে সেখান থেকে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি গড়ে ওঠে।

এই কর্মসূচি থেকে ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জবাই কর’ এই ধরনের স্লোগান উচ্চারিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে, যা নিয়ে শুরু হয় তীব্র বিতর্ক।

এই বিতর্কের জবাবে তাহসীন রিয়াজ বলেন, “একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জবাই কর-এ ধরনের কোনো স্লোগান দেওয়া হয় নাই। স্লোগানটা আমরা চেঞ্জ করেছি এবং বাংলাদেশের পলিটিক্সে এই স্লোগানের ট্র্যাডিশনটাকে এবারই আন্দোলনে ভেঙেছে। স্লোগানটা যদি একটু পরিষ্কারভাবে আপনারা শুনেন, এখনো চাইলে লাইভ করতে পারেন, আই চ্যালেঞ্জ। স্লোগানটা হচ্ছে একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর। কাজেই এখন রুমিন ফারহানা আসলে ট্র্যাডিশনালি শুনতে শুনতে এই অভ্যস্ততা থেকে হয়তো ওইটা ‘জেল’-টাকে ‘জবাই’-টাই শুনে ফেলেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “এটাকে আসলে এভাবে করে দেখার সুযোগ নাই। মানে পুরো ফ্রেমটা যেভাবে আপা দেখিয়েছেন, আর কি, ফ্রেমটা এরকম না। এই আন্দোলনটা কোন এগ্রেসিভ মুভমেন্ট না। এই আন্দোলনটা একটা যৌক্তিক দাবির মুভমেন্ট এবং এখানে ‘জবাই-টবাই’ টাইপ কোন ধরনের শব্দ কেউ প্রডিউস করে নাই।”


রুমিন ফারহানা বলেন, “এই মঞ্চ থেকে স্লোগান এসছে -একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জবাই কর। তাহসীন বলেছিলেন যে এটা একেবারেই হয়নি এবং আমি না জেনে বলছি। আমার কানে হয়তো ওটা রয়ে গেছে। বলেছেন-একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর, না। স্লোগানটা ছিল-একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জবাই কর।”

প্রমাণ স্বরূপ রুমিন ফারহানা টকশোতে সেই বিতর্কিত স্লোগানের ভিডিও ক্লিপ প্লে করে দেখান।তিনি আরও বলেন, “এই যে প্রচণ্ড রকম অসহিষ্ণুতার চাষ, আমি জানি না এটা শাহবাগ এলাকাটার সমস্যা কিনা, জানিনা।”


তাহসীন রিয়াজ বলেন, “আমি একদম স্ট্রংলি বলতেছি এখনো। আমি জানি না এই কন্টেন্টটা এডিটেড কিনা। চ্যানেল ২৪-এর যেকোনো কন্টেন্ট আর ইউ ক্যান এডিট সাউন্ড, বাট হোয়াটএভার আমি সে জায়গায় যাচ্ছি না। আমি স্পষ্টভাবে বলছি, যেটা অফিসিয়ালি এন্ডোর্স করার ব্যাপার আছে, আমি অফিসিয়ালি এন্ডোর্স করছি। যেটা অফিসিয়াল কোনো স্লোগান, সেটা বলতেই হবে। আমাকে একটু সুযোগ দিতে হবে। আপা যেহেতু দেখিয়েছেন, ডেফিনেটলি একটা এভিডেন্স নিয়ে এসেছেন, আমি কেন চ্যালেঞ্জ করছি দেখেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমি বারবার বলেছি, এখানে ডিফারেন্ট ক্লাস্টারস আছে। আপনাকে বুঝতে হবে যে এখানে জুলাই-আগস্টের সাথে কানেক্টেড মিনিমাম ৩৬টা-৩৮টার মতন সংগঠন আছে। এবং যেটা হয়েছে, এটা ডিফারেন্ট-ডিফারেন্ট ক্লাস্টারে তারা বিভক্ত হয়ে বিভিন্নভাবে স্লোগানগুলো দিচ্ছে, দিয়েছে। তবে অফিসিয়ালি এই স্লোগানকে আমরা কেউ ওন করি না।”


তাহসীন রিয়াজ বলেন, “আমি জানি যে আপা তো এটাই জানতে চান যে আমাদের এই জাতি বা আমাদের এই সোসাইটি বা আমাদের এই জেনারেশন যেন এই স্লোগানটাকে ওন না করে। আপার কিন্তু মোটিভেট। আপা যে সমালোচনাটা করছেন, এটা শুধুমাত্র আমাদেরকে ডাউনগ্রেড করার জন্য না। উনি চান না যে আমরা এটাকে ওন করি। আমি তো এটাই বলছি। কাজেই আমি এটা ক্লারিটি দিচ্ছি, এই ধরনের জিনিস আমরা কেউই ওন করি না।”

 

 

সূত্র:https://tinyurl.com/auha6587

আফরোজা

×