সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
প্রচণ্ড রোদ আর ভ্যাপসা গরমে অসহ্য হয়ে উঠেছে জনজীবন। রোদের তাপে বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তীব্র গরমে রোজাদারদের প্রাণও ওষ্ঠাগত। প্রখর রোদের ঘাম ঝরানো তাপমাত্রার কারণে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছেন চরম বিপাকে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও জানান, এর আগে গত ১ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গতকাল বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে পাবনার ওপর দিয়ে।
দুপুরে প্রচণ্ড রোদের তাপে বাইরে চলাচল বা দাঁড়ানো যাচ্ছে না। মনে হয় আগুন ঢেলে পড়ছে। আর এই কারণে সড়কে মানুষের সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন চলাচলও কমে গেছে। বিশেষ করে তীব্র রোদের কারণে দিনমজুর, রিকশাচালক, ঠেলা ও ভ্যানচালকরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না। আবার অনেকেই জীবন জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করেই বাধ্য হয়ে কাজে বের হয়েছেন। তীব্র গরমে বয়স্ক, শিশুরা পড়েছে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে।
পাবনা শহরের ঘোড়া স্ট্যাণ্ডে ভ্যান নিয়ে বসেছিলেন মহির উদ্দিন। বলেন, এত রোদের তাপ যে কি করবো ব্যাটা। একটুক সময়ও রোদে দাঁড়াবের পারতিছি না। ভাড়াও মারবের পারতিছি না। বসে থাকতিছি।
কেনাকাটা করতে বের হয়েছে মধ্য বয়সী আব্দুস সালাম। নিউ মার্কেটের সামনে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, আজ সকাল থেকে রোদের খুব তাপ। তাই ছাতা নিয়ে বের হইছি। এরকম রোদের তাপ এর আগে বুঝতে পারিনি। রোযা থেকে চলাচল খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এস