ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি

লন্ডনে সাগর-হিমেলকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের অভ্যর্থনা

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৪৪, ৩১ জুলাই ২০২৫

লন্ডনে সাগর-হিমেলকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের অভ্যর্থনা

লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনার আবিদা ইসলামের (মাঝে) সঙ্গে সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর ও নাজমুল হক হিমেল (ডানে)

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন দুই সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর ও নাজমুল হক হিমেল। দীর্ঘ ৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন তারা। যে কারণে সাগর ও হিমেলকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
হাইকমিশনার আবিদা ইসলামের আমন্ত্রণে দুই সাতারু লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে আসেন। সেখানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে সাঁতারু সাগর বলেন, বাংলাদেশের সম্মান বয়ে আনার জন্য ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া একটি বড় সুযোগ। জানান, বহু বছর ধরে পরিকল্পনা করছিলেন তিনি।

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনায় সাগর জানান, পানিতে প্রচ- ঠা-ায় তার শরীর অনেকটা জমে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা ১০ মিনিটে চ্যানেল অতিক্রম করেন। সাতারু হিমেল বলেন, ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে তাকে প্রচ- প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে অগ্রসর হতে হয়েছে। এজন্য তিনি বহু বছর যাবত নিজেকে তৈরি করেছেন। হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম বলেন, দীর্ঘ প্রায় চার দশক পরে বাংলাদেশের দুই সাতারু ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার যে কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তাতে বাংলাদেশ হাইকমিশন গর্বিত।

এই অর্জনের মধ্যে দিয়ে দুই সাতারু তরুণদের জন্য একটি উদাহরণ তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণরা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে আরও বেশি আগ্রহী হবে। হাইকমিশনার আশা করেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য আরো নতুন নতুন বিজয় বয়ে আনবে।
যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে বিভক্তকারী সমুদ্রপথ হলো ইংলিশ চ্যানেল। এটি ডোভার প্রণালীর মাধ্যমে আটলান্টিক মহাসাগর ও উত্তর মহাসাগরকে সংযুক্ত করেছে। এই চ্যানেলের দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৬২ কিলোমিটার এবং প্রস্থ অবস্থানভেদে সর্বোচ্চ ২৪০ কিলোমিটার থেকে সর্বনিম্ন ৩৪ কিলোমিটার। বিখ্যাত এই চ্যানেল অতিক্রম করা প্রথম এশীয় ও বাঙালি হলেন ব্রজেন দাস। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে মোট ছয়বার চ্যানেলটি অতিক্রম করেন তিনি। এরপর ১৯৬৫ সালে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন আবদুল মালেক। 
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রথম সাঁতারু হিসেবে ১৯৮৭ সালে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন মোশাররফ হোসেন।

প্যানেল হু

×