
ছবি: সংগৃহীত
দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বোর্ডে বড় রদবদল—সব মিলিয়ে এক দুঃসহ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছিল লংকান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় ক্রীড়া গণমাধ্যম ‘কোড স্পোর্টস’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই সময়কার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন তিনি। জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ছাড়ার মুহূর্তে নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়েই শঙ্কায় ছিলেন তিনি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের পর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে যায়। সেই পালাবদলের ছোঁয়া লাগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি)। নতুন বোর্ড সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন ফারুক আহমেদ। আর এরপরই গুঞ্জন ওঠে হাথুরুসিংহের চাকরি নিয়ে। অক্টোবর মাসে শেষ পর্যন্ত বিসিবি থেকে ছাঁটাই হন ‘বিতর্কিত’ এই কোচ।
তবে বিদায় নেওয়ার সময় কী অবস্থা ছিল তাঁর? সাক্ষাৎকারে হাথুরু বলেন, "বিসিবির সিইও (নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন) আমাকে বলেছিলেন—তোমার এখনই চলে যাওয়া উচিত। কাউকে কিছু বলার দরকার নেই, তোমার কি টিকিট আছে? তখনই আমি একটু ভয় পেয়ে যাই। এটা ছিল আমার জন্য একটি সতর্কবার্তা।"
তিনি জানান, সাধারণত তাঁর সঙ্গে একজন ড্রাইভার ও বন্দুকধারী নিরাপত্তারক্ষী থাকত, কিন্তু ওই দিন কেবল ড্রাইভার এসেছিল। এরপর ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে টিভির স্ক্রিনে চোখ পড়ে একটি ব্রেকিং নিউজ-এ:
"একজন খেলোয়াড়কে (নাসুম আহমেদ) লাঞ্ছনার দায়ে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে!" এই সংবাদ দেখে আরও ভয় পেয়ে যান হাথুরু।
"ব্যাংক ম্যানেজার আমাকে বলেন, ‘কোচ, আমি আপনার সঙ্গে যাব। বাইরে কেউ আপনাকে দেখে ফেললে নিরাপদ হবেন না।’ এরপর এক বন্ধু আমাকে রাতের সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ধরতে বিমানবন্দরে নিয়ে যায়। আমি টুপি ও হুডি পরে নিজেকে গোপন রাখার চেষ্টা করি। কারণ, দেশ ছাড়ার অভিযোগে তখন আমাকে গ্রেফতারও করা যেতে পারত।"
সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য প্রকাশ করলেও বিসিবি এখনও হাথুরুসিংহের এই দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এসএফ