ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

অবিস্মরনীয় সাফল্যে উচ্ছসিত রিজওয়ান

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২১:৩৭, ১০ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ২১:৫৪, ১০ নভেম্বর ২০২৪

অবিস্মরনীয় সাফল্যে উচ্ছসিত রিজওয়ান

২২ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতল পাকিস্তান

২২ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতল পাকিস্তান। অধিনায়ক হিসেবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের শুরুটা হল দূর্দান্ত। এর আগে ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান। এবারের মতো সেবারও দলটি জিতে ২-১ ব্যবধানে।

ওয়ানডে ও টি২০ বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর নেতৃত্ব ছাড়েন বড় তারকা বাবর আজম। ভীষন চাপের মধ্যেই অগোছালো দল নিয়ে প্রথম মিশনেই অবিস্মরনীয় সাফল্য পেলেন রিজওয়ান। পার্থে আজ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফের পেস-তান্ডবের মুখে ৩১.৫ ওভারে মাত্র ১৪১ রানে অলআউট হয় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ২৬.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ম্যাচে ২ ও সিরিজে ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচ ও সিরিজসেরা হয়েছেন রউফ।

রিজওয়ানের নেতৃত্বের শুরুটা এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারত! আজ অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ২২ বছর পর আবার সেখানে ওয়ানডে সিরিজ জিতল পাকিস্তান। ২০০২ ও ২০২৪—এ দুই বছর জেতা দুটি ওয়ানডে সিরিজই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সব সংস্করণ মিলিয়ে পাকিস্তানের সিরিজ জয়ের উদাহরণ।

এই সিরিজ জয়কে ‘বিশেষ মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন নতুন অধিনায়ক রিজওয়ান। একই সঙ্গে রিজওয়ান তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি যা বলেছেন, সেটার মর্মার্থ হতে পারে এ রকম—পাকিস্তান দলে তাঁর রাজত্বে সবাই রাজা! তিনি নিজে শুধু টস আর পুরস্কার বিতরণীর জন্য অধিনায়ক!

রিজওয়ান বলেন,‘আমার জন্য বিশেষ মুহূর্ত। দেশের মানুষ আজ খুব খুশি হবে। গত দুই বছর আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো খেলতে পারিনি।’ এরপরও নিজের অধিনায়কত্বের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন রিজওয়ান, ‘আমি শুধু টস আর পুরস্কার বিতরণীর অধিনায়ক—মাঠে সবাই আমাকে পরামর্শ দেয়; ব্যাটিং গ্রুপ ও বোলিং গ্রুপ, সবাই।’

রিজওয়ান এরপর আবার ফিরে গেলেন এই সিরিজে দলের পারফরম্যান্সে। দল যেমন খেলেছে, খুব খুশি রিজওয়ান। বিশেষ করে বোলারদের পারফরম্যান্সে, ‘সব কৃতিত্ব বোলারদের। অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়াকে হারানো সহজ নয়।’

পাকিস্তানের সমর্থকদের উদ্দেশে রিজওয়ান বলেন, ‘তারা (সমর্থকেরা) ফল নিয়ে এতটা ভাবছে না। দেশের মানুষ সব সময়ই আমাদের সঙ্গে আছে এবং এই জয় আমরা তাদেরই উৎসর্গ করছি।’

২০০২ সালের সেই সফরে এভাবেই প্রথম ম্যাচ হারের পর শোয়েব আখতারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পরের দুই ম্যাচ জিতেছিল তারা। দুই দশকের বেশি সময় পর এবার শোয়েবের ভূমিকায় যেন হারিস রউফ। তিনিও শেষ দুই ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে দলের সিরিজ জয়ের নায়ক। 

পার্থে সিরিজ নির্ধারণী লড়াইয়ে ম্যাথু শর্ট ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের উইকেট নিয়ে রউফই জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই সিরিজে পাকিস্তানের পেসাররা উইকেট নিয়েছেন ২৬টি, যা পাকিস্তানের হয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ। রউফ উইকেট নিয়েছেন ১০টি। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন অন্য পেসাররা—আফ্রিদি নিয়েছেন ৮টি, নাসিম শাহ ৫টি, হাসনাইন ৩টি।

মিরাজ/এমএম

×