ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

শান্ত-সৌম্য ও জাকেরের ব্যাটে লড়াকু পুঁজি

মো. মামুন রশীদ

প্রকাশিত: ২২:২৭, ৯ নভেম্বর ২০২৪

শান্ত-সৌম্য ও জাকেরের ব্যাটে লড়াকু পুঁজি

দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য (বাঁয়ে) ও শান্তর ৭১ রানের জুটি লড়াকু পুঁজির ভিত গড়ে দেয়

সিরিজ হার ঠেকাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে অবশ্যই জিততে হবে। এমন পরিস্থিতিতে শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫২ রানের লড়াকু পুঁজি দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। এর পেছনে মূলত ভিত গড়ে দেয় দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্তর ৭১ রানের দারুণ এক জুটি। মাত্র ১৯তম ওভারে দলীয় শতরান আসলেও পরবর্তীতে আফগানিস্তানের স্পিনাররা দুর্দান্ত বোলিংয়ে রানের গতি শ্লথ করে দিয়েছেন। একটা সময় ১৮৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বড় কোনো সংগ্রহের সম্ভাবনা কমে যায়। কিন্তু শেষদিকে অভিষিক্ত জাকের আলী অনিক ও নাসুম আহমেদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে লড়াইয়ের পুঁজি দাঁড় করাতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। 
শনিবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শারজার পিচ রিপোর্টে বলা হয়েছে এখানে গড় রান ২৪০+। টস হেরে আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিও জানান তারা বাংলাদেশকে এর মধ্যেই আটকাতে চান। তবে শুরুটা দারুণ করে ২ পরিবর্তন নিয়ে নামা বাংলাদেশ দল। মুশফিকুর রহিমের বদলে দেশের ১৪৯তম ওয়ানডে খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক ক্যাপ পান জাকের আলী। আর লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনের জায়গাটা নেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। ব্যাটিং শুরুর পর টানা ব্যর্থ তানজিদ হাসান তামিমও ভালোই ব্যাট করছিলেন। কিন্তু তিনি ২৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে বিদায় নেওয়ার পর সৌম ও শান্ত দারুণ এক জুটি গড়েন। বাংলাদেশও ভালো একটি সংগ্রহ গড়ার পথে এগিয়ে যায়।

পাওয়ার প্লে’র ১০ ওভারে আসে ৫৯ রান। সৌম্য ছিলেন কিছুটা ধীরস্থির। তবে তানজিদ ১৭ বলে ৩ চার, ১ ছয়ে ২২ রান করে মোহাম্মদ গজনফরের অফস্পিনে সাজঘরে ফেরেন। দলীয় ২৮ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেও সৌম্য ও অধিনায়ক শান্ত দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৯৩ বল থেকে ৭১ রানের জুটি গড়েন। ১৯তম ওভারে সৌম্য ৪৯ বলে ২ চার, ২ ছক্কায় ৩৫ রানে বিদায় নেন রশিদ খানের লেগস্পিনে এলবিডব্লিউ হয়ে। তবে তৃতীয় উইকেটে মেহেদি হাসান মিরাজ যোগ দিয়ে আরও ৫৩ রানের জুটি গড়েন শান্তর সঙ্গে। 
রানের গতি কম থাকলেও এতে ক্যারিয়ারের নবম অর্ধশতক পেয়ে যান শান্ত ৭৫ বলে। মিরাজ ৩৩ বলে ২২ রানে রশিদের স্পিনে বোল্ড হলে লড়াইটা শান্তই চালিয়েছেন। এর মাঝে তাওহিদ হৃদয়ও মাত্র ১১ রান করে বিদায় নেন। শান্ত ভালোই খেলছিলেন এবং সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে তোলেন। কিন্তু তিনিও ১১৯ বলে ৬ চার, ১ ছক্কায় ৭৬ রানে বিদায় নেন ৪১তম ওভারে। নানজেয়ালিয়া খরোতের বাঁহাতি স্পিনে একই ওভারে বিদায় নেন মাহমুদুল্লাহও (৩)। জোড়া উইকেট হারিয়ে ৬ উইকেটে ১৮৪ রান তখন বাংলাদেশের। বড় সংগ্রহের আশা ম্লান হয়ে যায় এতে। কিন্তু জাকের-নাসুম দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন।

তারা মাত্র ৪১ বল মোকাবেলায় ৪৬ রানের জুটি গড়েন। গজনফরের অফস্পিনে নাসুম ২৪ বলে ১ চার, ২ ছক্কায় ২৫ রানে ফিরে যান। কিন্তু জাকের ২৭ বলে ১ চার, ৩ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে। তাই শেষ ৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যোগ করতে পেরেছে ৫২ রান। এতেই ৭ উইকেটে ২৫২ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ। খরোত ৩টি এবং রশিদ, গজনফর ২টি করে উইকেট নেন।

×