
ফাহাদ করিম এবার বাফুফে নির্বাচনে সহসভাপতি পদপ্রার্থী
একটি দেশের ফুটবলের উন্নয়নের জন্য শুধু সদিচ্ছা ও পরিকল্পনাই যথেষ্ট নয়। সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হচ্ছে অর্থ বা পৃষ্ঠপোষকতার। বাংলাদেশের ফুটবলের আশাতীত উন্নতি না হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে অর্থ বা পৃষ্ঠপোষকের অভাব।
তবে এমন একজনকে পাওয়া গেছে, যিনি এই সমস্যার সমাধানের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
আগামী ২৬শে অক্টোবর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে শুরু হয়েছে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা। সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি, সহসভাপতি ও কার্যনির্বাহী সদস্যপদে অংশ নিতে ইতোমধ্যেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন প্রার্থীরা। ফুটবলের উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা। এদের মধ্যে ব্যতিক্রম নন প্রথমবার সহসভাপতি পদে লড়াই করা ফাহাদ এ. করিম।
কে-স্পোর্টসের প্রধান এই নির্বাহী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হতে পারলে ফুটবলে পৃষ্ঠপোষকতার সঙ্কট কাটানো এবং নারীদের ফুটবল উন্নয়নে জোর দেয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে ফাহাদের এমন প্রতিশ্রুতির কথা শুনে ফুটবলামোদীরা সংশয় প্রকাশ করেছেন। কেননা বহু বছর ধরেই পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে দেশের ফুটবল রীতিমতো ধুঁকেছে, এমনটা তারা দেখেছেন।
চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয় ফুটবল ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন। নানা বিতর্কের পরও টানা চার মেয়াদে সভাপতি থাকা কাজী মো. সালাউদ্দিন সরে দাঁড়িয়েছেন এবার। ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার প্রতিবেদনে আর্থিক স্বচ্ছতা না থাকায় জরিমানা দিতে হয়েছে সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে। তিনিও নেই এবারের বাফুফের নির্বাচনে।
বাফুফের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ। অনেকেই মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। সহসভাপতি, কার্যনির্বাহী সদস্যপদেও নতুন নতুন প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনছেন। এদের মধ্যে জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ও বিগত কমিটির অনেকেই আছেন। নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে ফুটবল নিয়ে নানা প্রতিশ্রুতির কথা শোনাচ্ছেন তারা।
দীর্ঘসময় ফুটবলের দেশি এবং আন্তর্জাতিক আসর আয়োজন করেছেন কে-স্পোর্টসের প্রধান নির্বাহী ফাহাদ এ. করিম। বাফুফের এবারের নির্বাচনে সহ-সভাপতি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তিনি। এছাড়া নারীদের ফুটবলকে আরো জনপ্রিয় এবং নারী খেলোয়াড়রা যেন আর্থিকভাবে আরো লাভবান হতে পারে সেই বিষয়ের উপর জোর দেবেন বলেও জানান ফাহাদ।
এখন দেখার বিষয়, ফাহাদ নির্বাচনে জয়ী হতে পারেন কি না এবং জয়ী হলে প্রতিশ্রুতি দু'টির বাস্তবায়ন ঘটাতে পারেন কি না। বিশেষ করে পৃষ্ঠপোষকতার প্রতিশ্রুতি।
রুমেল খান/ রিয়াদ