.
হংকং একাদশের বিরুদ্ধে মার্কিন ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে প্রীতি ম্যাচে লিওনেল মেসির না খেলার বিষয়টি সহজে মেনে নিতে পারেনি চীন। তাই তো দেশটিতে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের ম্যাচও আরও হচ্ছে না। অর্থাৎ মেসিদের চীন সফর ভেস্তে গেছে। যে কারণে পাল্টে গেছে তাদের আগের ঘোষিত দুই প্রতিপক্ষের একটিও। কোপা আমেরিকার আগে মার্চে শেষ আন্তর্জাতিক বিরতিতে এল সালভাদর ও নাইজিরিয়ার মুখোমুখি হবে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বৃহস্পতিবার রাতে নতুন দুই ম্যাচের সূচি নিশ্চিত করেছে। এখন নতুন সূচি অনুযায়ী দুটি ম্যাচই হবে যুক্তরাষ্ট্রে। আগামী ২২ মার্চ ফিলাডেলফিয়ায় এল সালভাদরের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। চারদিন পর লস অ্যাঞ্জেলসে নাইজিরিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে মেসিবাহিনী। এর আগে আগামী মাসে চীনে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা জানিয়েছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচ দুটি হওয়ার কথা ছিল নাইজিরিয়া ও আইভরিকোস্টের বিরুদ্ধে। কিন্তু মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামির চীন সফর নিয়ে ঝামেলা হওয়ার কারণে এশিয়ায় আর আসা হচ্ছে না আর্জেন্টিনার।
হংকং একাদশের বিরুদ্ধে ইন্টার মায়ামির বহুল আলোচিত প্রীতি ম্যাচে ৪০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রে ছিলেন মেসি। কিন্তু চোট সমস্যায় পুরোটা সময় বেঞ্চে বসেই কাটান আটবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। ম্যাচ চলাকালীনই তাই ক্ষোভ প্রকাশ করে দর্শকরা। পরে হংকংয়ের রাজনীতিবিদরা এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সমালোচনায় সরব হয় চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম। ওই ম্যাচের তিনদিন পর জাপান সফরে দেশটির ক্লাব ভিসেল কোবের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে বদলি হিসেবে ৩০ মিনিটের বেশি সময় খেলেন মেসি। ওই ঘটনার পর হংকংয়ের দর্শকদের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। চীনের হাংঝুতে নাইজিরিয়ার বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল আর্জেন্টিনার। উত্তপ্ত ওই পরিস্থিতিতে ম্যাচটি বাতিল করে দিয়েছে দেশটির ক্রীড়া কর্তৃপক্ষ। বেজিংয়ে আরেক প্রীতি ম্যাচে আইভরিকোস্টের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল আর্জেন্টিনার। কিন্তু সেটিও এখন মার্কিন মুল্লুকে হবে। অবশ্য সব সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়ে এক ভিডিও পোস্টে মেসি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, সবাই জানে আমি সব সময়ই সব ম্যাচ খেলতে চাই। এমন যদি আগে থেকে জানা থাকত যে মূল দলে আমি থাকতে পারছি না, তবে হয়তো হংকং সফরে দলের সঙ্গে যেতাম না। এখানে রাজনৈতিক কোনো কারণই নেই।