ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

স্পেন কোচ লুইস এনরিক জানিয়েছেন, প্রথম তিনটি শটের জন্য তিন ফুটবলারকে তিনিই বেছে নিয়েছিলেন

অবনত মস্তকে দায় স্বীকার

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৪৬, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

অবনত মস্তকে দায় স্বীকার

লুইস এনরিক

ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ফুটবলারদের ১০০০ পেনাল্টি শট অনুশীলনের কথা জানিয়েছিলেন স্পেন কোচ লুইস এনরিক। পরীক্ষাটাও হলো সঙ্গে সঙ্গেই। তবে সেই পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি তার শিষ্যরা। মরক্কোর কাছে টাইব্রেকে ৩-০’র হারে শেষ ষোলোতেই শেষ ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নদের দৌড়। ‘দায়টা আসলে আমার। পেনাল্টি নেওয়ার জন্য প্রথম তিনজনকে আমিই নির্বাচন করেছিলাম। বাকি দুটি পেনাল্টি কারা নেবে, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফুটবলাররা। আমরা তো চতুর্থ শটও নিতে পারিনি।’

বলেন স্প্যানিশ কোচ এনরিক। নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও অতিরিক্ত ৩০ মিনিট মিলিয়ে মোট ১২০ মিনিট গোলশূন্য রাখার পর ট্রাইব্রেকেও পরাশক্তিদের রুখে দিয়ে নায়ক বনে গেছেন মরক্কো গোলরক্ষক ইয়াসিন বউনু। ‘মরক্কোকেও জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই। তারা তাদেও খেলাটা খেলেছে, পেনাল্টি শুটআউটে তারা আমাদের চেয়ে ভালো ছিল। আমাদের ফুটবলারদের হারটা মেনে নিতে হবে, হার প্রাপ্য হোক বা না হোক।’ যোগ করেন এনরিক।
অথচ কাতার বিশ্বকাপ স্বপ্নের মতো শুরু করেছিল স্পেন। যাত্রার শুরুর দিনে কোস্টারিকাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল তারা। সেই স্পেন এদিন একটি গোলও করতে পারেনি। নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য ড্র’ থাকার পর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। মুহুর্মুহু আক্রমণ করে সেখানেও কাক্সিক্ষত গোলের দেখা পায়নি তারা। খেলা গড়ায় টাইব্রেকে। সবাই প্রত্যাশা করেছিল এনরিকের কথা অনুযায়ী; এখানে গোল উৎসবে মাতবে তার শিষ্যরা।

শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। দলের এমন হারের পর ফুটবলারদের সমালোচনায় মেতেছিলেন স্পেনের ক্রীড়া সাংবাদিকরা। তবে ঢাল হয়ে শিষ্যদের রক্ষা করেছেন এনরিক। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনি কি খেলা দেখেছেন? কোথায় ছিলেন, পেছন ফিরে? আমরা যদি কিছু করে থাকি, তা হলো খেলায় আধিপত্য বিস্তার করেছি। কিছু সুযোগ তৈরি করার জন্য আমাদের দোষ দেওয়া যেতে পারে।

আমাদের লক্ষ্যের অভাব ছিল। তবে আমার দল যা করেছে, তাতে আমি বেশ সন্তুষ্ট। তারা ফুটবল সম্পর্কে আমার ধারণা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করেছে। আমি তাদের নিয়ে গর্বিত। টাইব্রেকে ইয়াসিন বউনু (প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক) ছিল দর্শনীয়।’ বল দখলে রেখে, পাসের পর পাসে প্রতিপক্ষের রক্ষণের তালা খোলার চেষ্টা- স্প্যানিশ ফুটবলের ধরনই এমন। মরক্কোর বিপক্ষেও ছিল একই কৌশল। ১০১৯টি পাস খেলেও কাজের কাজটাই করতে পারেনি। দিন শেষে ফুটবল তো গোলেরই খেলা।
একাধিকবার আক্রমণে গিয়েও একটি গোল আদায় করতে পারেনি ২০১০ বিশ্বকাপজয়ীরা। বিপরীতে স্পেনের আক্রমণ সামলে মুনশিয়ানা দেখিয়েছে মরক্কোর রক্ষণভাগ। ফুটবলার নির্বাচনে কোন ভুল হয়েছে কিনা কিংবা  স্পেনের কিছুর অভাব আছে কিনা, জানতে চাইলে এনরিক বলেন, ‘আমার যে খেলোয়াড়দের প্রোফাইল আছে তাতে আমি খুব খুশি।

তাদের আমিই বেছে নিয়েছি এবং আমি তাদের সঙ্গে মৃত্যুর দিকে যাব। আমি আমার  খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানাই, তারা আসরে প্রতিযোগিতা করেছে। ভক্তদের পুরস্কৃত করতে না পারার জন্য আমরা দুঃখিত।’ ম্যাচের ১১৮ মিনিটে টাইব্রেকের জন্য মাঠে নেমে আক্রমণে মরক্কোকে কাঁপিয়ে দেয় পাবলো সারাবিয়া।

সম্পর্কিত বিষয়:

×