নেইমার
বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামছে ব্রাজিল। তার আগে সমর্থকদের জন্য খুশির খবর দিলেন কোচ তিতে। জানিয়ে দিলেন, সব ঠিকঠাক থাকলে সেই ম্যাচে নেইমারের খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, শনিবারের পর রবিবারও নেমার দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন। তাকে সতীর্থদের সঙ্গে বেশ হাসিখুশিতে অনুশীলন করতে দেখা গিয়েছে।
তার আগেই তিতে বলেছিলেন, নেইমার অনুশীলন করবে আজ। ম্যাচের দলেও ও থাকবে। কিছু নির্দিষ্ট অনুশীলন করানো হবে ওকে দিয়ে। আগে থেকে সে ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে চাই না। নেইমারকে নিয়ে কোনো মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছি না। যেটা সত্যি সেটাই বলছি। ম্যাচের আগে শারীরিক অবস্থা ভালো থাকলে ওকে খেলাতেই পারি।
তিতে আরও বলেছেন, আমরা প্রতি ম্যাচে নিজেদের উন্নতি করতে চাই। তার জন্য ভালো ফুটবলারের দরকার পড়ে। কিন্তু কারও চোট নিয়ে অহেতুক ঝুঁকি নিতে চাই না। তাই প্রথম একাদশে নেইমারের থাকা না থাকা নির্ভর করছে দলের ডাক্তারদের উপরে। তবে শুরু থেকেই যে দলই খেলাই, তারা সেরা। প্রত্যেকে নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে জানে।
বিশ্বকাপে শুরুতে সার্বিয়া ম্যাচেই চোট পেয়েছিলেন নেইমার। তারপরে গ্রুপের বাকি দু’টি ম্যাচে খেলতে পারেননি। তিনি বিশ্বকাপে আছেন না নেই, সে সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো ইঙ্গিত দিতে পারছিলেন না কোচ নিজেই। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচের আগে হঠাৎই ভেসে এসেছে সুখবর। তবে গ্যাব্রিয়েল জেসুস এবং আলেক্স টেলেস ছিটকে যাওয়ার দুঃখও রয়েছে শিবিরে।
যে প্রসঙ্গে অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা আজ রবিবার বলেন, শনিবার অনুশীলনের আগে সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছিল এটা ভেবে যে, দু’জনকে আর আমাদের সঙ্গে রাখতে পারব না। ওরা বিশ্বকাপে আর আমাদের সঙ্গে খেলবে না। কিন্তু আমাদের এগিয়ে যেতেই হবে। ভালো খেলে ওদের আনন্দ দিতে পারি। চাই ওরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। দলে যারা আসছে, তারাও অবদান রাখুক। দানিলো ভালোভাবেই অনুশীলন করছে। আলেক্স সান্দ্রোও উন্নতি করছে।
জেসুসের চোটের পরেই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দাবি তুলেছিল, চোট থাকা সত্ত্বেও খেলানো হয়েছে তাকে। এ দিন তাদের একহাত নিয়েছেন তিতে। বলেছেন, কোনো দিন কোনো ফুটবলারকে নিয়ে আমরা ঝুঁকি নেই না। যারা এসব ছড়াচ্ছে, তারা মিথ্যা কথা বলছে। তারা আমাদের ভালো চায় না। ওদের বলব, অন্য কোনো গল্প খুঁজে বের করুন। মিথ্যা কথা বলবেন না। জেসুস যেখানে খেলে, সেই আর্সেনালের চিকিৎসক দল খুবই ভালো। ওরা পেশাদার। আমাদের কিছুই বলেনি। সবই সংবাদমাধ্যমের কল্পনা।
এমএইচ
