
ইউরোপিয়ান এ্যাথলেটিক্সে চাকতি নিক্ষেপে রেকর্ড গড়া ক্রোয়েশিয়ার সান্দ্রা পার্কোভিচ
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের চাকতি নিক্ষেপে এককভাবেই রাজত্ব করছেন সান্দ্রা পার্কোভিচ। চলমান মিউনিখ আসরেও এই ইভেন্টের স্বর্ণপদক জয়ের নজির গড়লেন তিনি। এবার ৬৭.৯৫ মিটার নিক্ষেপ করে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক জয়ের স্বাদ পেলেন ক্রোয়েশিয়ান তারকা। সেইসঙ্গে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এই চাকতি নিক্ষেপকারী। টানা ছয়বার এই ইভেন্টে স্বর্ণপদক জয়ের বিস্ময়কর কীর্তি গড়লেন সান্দ্রা পার্কোভিচ। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোন একক ইভেন্টে তিনিই এখন সর্বোচ্চ স্বর্ণপদকজয়ী এ্যাথলেট। মেয়েদের মধ্যে একক ইভেন্টে সর্বোচ্চ চারবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড রয়েছে।
ডিসকাস থ্রোয়ে বাকি দুটি পদকে দাপট দেখিয়েছে স্বাগতিক জার্মানি। দ্বিতীয় হয়ে রৌপ্যপদক জিতেছেন ক্রিস্টিন পুদেঞ্জ। যিনি ৬৭.৮৭ মিটার নিক্ষেপ করে রৌপ্য জিতেন। এটা তার ব্যক্তিগত সেরা পারফর্মেন্স। তৃতীয় হয়ে ব্রোঞ্জপদক জিতেছেন জার্মানির আরেক তারকা ক্লাউদিন ভিটা। তবে সবারই নজর ছিল পার্কোভিচের দিকে। কেননা এই ইভেন্টটাকে যে একেবারেই নিজের করে নিয়েছেন তিনি। গত এক যুগ ধরে তার দাপট দেখছে ইউরোপ। এই আসরে তিনি প্রথম আলো ছড়িয়েছিলেন ২০১০ সালে। বার্সিলোনার সেই আসরে প্রথমবার স্বর্ণপদক জয়ের কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। সেই যে শুরু তার পরের গল্পটা কেবলই এগিয়ে চলার। এরপর হেলসিঙ্কি, জুরিখ, এ্যামস্টারডাম এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালে বার্লিন চ্যাম্পিয়নশিপেও শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়েন তিনি। যে কারণে এবারও সুস্পষ্ট ফেবারিটের তকমাটা গায়ে মেখে মিশন শুরু করেছিলেন ক্রোয়েশিয়ান তারকা। হতাশ করেননি ভক্ত-অনুরাগীদের। দাপুটে পারফের্মেন্সের সৌজন্যেই প্রথম হন তিনি।
এমন পারফের্মন্স যে শুধু ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেই তা কিন্তু নয়? পার্কোভিচের স্বর্ণপদক রয়েছে ক্রীড়ার মহাযজ্ঞ অলিম্পিকেও। তাও আবার দুটি। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে প্রথম স্বর্ণপদক জয়ের স্বাদ পান তিনি। এরপর ২০১৬ সালে রিও ডি জেনেরিওতেও একই চিত্রনাট্য। সেইসঙ্গে গড়েন টানা দুইবার অলিম্পিকের স্বর্ণপদক জয়ের কীর্তিও। এছাড়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও দুটি স্বর্ণ রয়েছে তার। ২০১৩ সালে মস্কো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার চাকতি নিক্ষেপে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়েন তিনি। এরপর ২০১৭ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নশিপেও নিজের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করেন পার্কোভিচ। সর্বশেষ গত মাসে ইউজিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অবশ্য রৌপ্যপদকেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। এর আগে ২০১৯ সালে দোহার আসরে জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ। এছাড়া ২০১৫ সালে বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও রৌপ্যপদক জিতেন এই ক্রোয়েশিয়ান এ্যাথলেট।