উড়ছেন বাবর ছুটছে পাকিস্তান
উড়ছেন বাবর আজম। ফরমেট বদলালেও বদলাচ্ছে না সুপার উইলোবাজের ব্যাটিং-ঝলক। বিরাট কোহলি যখন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন প্রতিদ্বন্দ্বী বাবরের ব্যাটে তখন উতুঙ্গ হাওয়া। পরাশক্তি পাকিদের সঙ্গে নিজেদের ঐতিহাসিক প্রথম দিপক্ষীয় সিরিজেই সেটি পেল হল্যান্ড। টানা দুই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে সফরকারীরা। এবার তাদের জয় ৭ উইকেটে। রটারডামে স্বাগতিকদের ১৮৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৩৩.৪ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে সেটি টপকে যায় পাকিরা।
৭ চারে ৫৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন বাবর। নিজের শেষ দশ ওয়ানডেতে এটি তার অষ্টম হাফ সেঞ্চুরি বা ততোর্ধ রানের ইনিংস। ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের পর চতুর্থ দল হিসেবে ওয়ার্ল্ডকাপ সুপার লীগে পাকিদের পয়েন্টও এখন ১০০ বা তার বেশি।
নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে যে কোন ফরমেটে এই প্রথম দিপক্ষীয় সিরিজ খেলছে হল্যান্ড ও পাকিস্তান। ৩১৫ রানের অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রতিপক্ষকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল ডাচ্রা, ২৯৮/৮- এ থেমে হারে মাত্র ১৬ রানে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে পাত্তাই পায়নি স্কট এডওয়ার্ডসের দল। ৪৪.১ ওভারে ১৮৬ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। ব্যাস ডি লিড ৮৯ ও টম কুপার করেন ৬৬ রান। ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা মোহাম্মদ নওয়াজ।
জবাবে ১১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতে ধাক্কা খেলেও বাবর, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আগা সালমানের তিন হাফ সেঞ্চুরিতে ঠিকই সহজ জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। রিজওয়ান ৬৯ ও সালমান মাত্র ৩৫ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। ৭ চারে ৬৫ বলে ৫৭ রান করে আউট হন বাবর। আগের ম্যাচে তিনি করেন ৭৪ রান। নিজের শেষ ১০ ওয়ানডেতে এটি তার অষ্টম হাফ সেঞ্চুরি বা তদুর্ধ রানের ইনিংস। যেখানে আছে চারটি সেঞ্চুরিও। শুধু ওয়ানডে নয়, সব ফরমেটেই ব্যাট হাতে সমানে রানের ফল্গুধারা বইয়ে দিচ্ছেন ২৭ বছর বয়সী এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
টেস্ট, ওয়ানডে ও টি২০ মিলিয়ে শেষ ১০ ম্যাচের ১৪ ইনিংসে ৩ সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি ৮টি, অতিমানবীয় বৈকি। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা সফরে গলে দুই টেস্টের চার ইনিংসে বাবরের রান ১১৫, ৫৫, ১৬ ও ৮১। বাকি দুটি সেঞ্চুরি করেছেন ওয়ানডতে।
গত এপ্রিল-জুনে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তান অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে অপরাজিত ১০৫, ৬৬ ও ১০৩ রানের ইনিংস। দল হিসেবেও উড়ন্ত পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগের চতুর্থ দল হিসেবে ১০০ বা তার বেশি পয়েন্ট অর্জন করেছে। সমান ১৮ ম্যাচ খেলে ১২টি করে জয়ে শীর্ষে ইংল্যান্ড ও দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। ১৭ ম্যাচে ১১ জয়ে ১১০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে পাকিস্তান। ১২ ম্যাচে ১০ জয়ে চারে আফগানরা (১০০)।