
ছবি: সংগৃহীত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি! এই অভিযোগে গুলশান থেকে হাতেনাতে ধরা পড়ে পাঁচজন, যাদের নেতৃত্বে ছিলেন সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ। এই ঘটনায় দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। এরই মধ্যে সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা ফাঁস করলেন আরও ভয়ংকর তথ্য!
২৬ জুলাই গুলশানের একটি ভিআইপি বাসায় চাঁদা আদায়ের সময় সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রিয়াদ চাঁদা নিয়ে কথাকাটাকাটিতে লিপ্ত। দাবি করা হয়, আগেই ১০ লাখ টাকায় চাঁদা নিয়েও আরও ৪০ লাখ টাকার জন্য ফের হানা দেয় তারা। এসময় পুলিশ তাদের আটক করে।
ঘটনার পর রাতে নিজের ফেসবুক পেজে সাবেক নেত্রী উমামা ফাতেমা লেখেন, রিয়াদ আগেই বিভিন্ন জায়গায় অশোভন আচরণ, হুমকি ও মারামারিতে জড়িয়েছেন। এমনকি মেয়েদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
উমামা বলেন, “এই প্ল্যাটফর্মে দুর্নীতিপরায়ণ, সুযোগসন্ধানী মানুষের আনাগোনা বহুদিন ধরেই ছিল। আমি আর অবাক হই না!” তিনি আরো জানান, রিয়াদদের প্রভাব এতটাই বেশি ছিল যে সচিবালয় থেকে শুরু করে রাজপথের মিছিলে তারা নেতাদের ছায়ার মতো প্রোটোকল দিত।
এদিকে, আদালত ২৭ জুলাই রিয়াদসহ চারজনের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। গ্রেফতার অন্যরা হলেন সাকাদাউন, সিয়াম, সাদমান ও ইব্রাহিম হোসেন।
নুসরাত