ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন উপযোগী কিনা ভেবে দেখতে হবে: তারেক রহমান

প্রকাশিত: ২০:৪১, ১ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২০:৪৪, ১ জুলাই ২০২৫

ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন উপযোগী কিনা ভেবে দেখতে হবে: তারেক রহমান

ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন উপযোগী কিনা তা ভেবে দেখার কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

সংস্কারের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, একটি ইস্যুকে সঙ্গে নিয়ে আরেকটি ইস্যুকে শর্তে বেড়াজালে আবদ্ধ না করা ফেলা মুক্তিকামী গণতান্ত্রিক জনগণ মনে করে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে রাজনৈতিক দলগুলো চিন্তাভাবনা করেই প্রস্তাব দিচ্ছে এবং সবাই জনগণের কথা চিন্তাভাবনা করেই উত্তম প্রস্তাব দিচ্ছে। প্রত্যেক প্রস্তাব বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উত্তম কিনা সেটি বিবেচনা করা দরকার। কোন কোন রাজনৈতিক দল সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলেছেন। বিশ্বের কোন কোন দেশে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি রয়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যমান বাস্তবতায় ভৌগলিক, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে এই পদ্ধতি কতটা উপযোগী তা সকলকে ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্ত ভিত্তির উপর ধরে রাখতে হলে ও তাবেদারমুক্ত ধরে রাখতে হলে জনগণের ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কিন্তু সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থায় দেশে ঐক্যের পরিবর্তে বিভক্তি, সমাজ ও অস্থিতিশীল সরকার হয়ে উঠতে পারে কিনা তা গুরুত্বসহকারে সকল রাজনৈতিক দলকে ভেবে দেখার অনুরোধ করেছেন তিনি।

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের আড়ালে পুনরায় দেশের রাজনীতিতে নিজেদের অজান্তে পতিত স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে কিনা তাও ভেবে দেখতে হবে।

আমি মনে করি, প্রতিদিন নিত্যনতুন কিছু সামনে নিয়ে আসে ষড়যন্ত্রকারীরা। তারা আবারো সুযোগ পাবে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিদিন জনগণের সকল সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। জনগণের সমস্যার কথা তাদের কাছে পৌঁছানোর কোনো মাধ্যম নেই। সুতরাং সংস্কারের ইস্যু নিয়ে সরকারকে ব্যস্ত রাখলে হয়তো জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা যেতে পারে।

আফরোজা

×