
শুধু আওয়ামী লীগ নয় ১৪ দলকেও নিষিদ্ধ করতে হবে
আওয়ামী লীগের সঙ্গে সঙ্গে ১৪ দল এবং এর সকল সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন জুলাই ঐক্যের সংগঠকরা। রবিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে এবং জোটের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা বিষয়ে জুলাই ঐক্যের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন জুলাই ঐক্যের সংগঠকরা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের দুই হাজার শহীদের রক্তের উপরে আমরা আজ দাঁড়িয়ে আছি। খুনি ও সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র এবং জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার দাবি নিয়ে গত বুধবার জুলাই ঐক্যের ঘোষণা করি। যেখানে বর্তমানে ’৬০-এরও অধিক সংগঠন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে ঢাবি থেকে মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বসবভনের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে শাহবাগে অবস্থান নেয় জুলাই ঐক্য। একই দিন বিকাল সাড়ে পাঁচটায় যমুনার সমাবেশ থেকে ছাত্রজনতা শাহবাগে অবস্থান নেয় যেখানে জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সংগঠন হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই ঐক্যের সংগঠকরা আরও বলেন, শনিবার রাতে দেশের অনেক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে মিলে শাহবাগে অবস্থান নেই। আপনারা সকলেই অবগত আছেন শনিবার রাতে কৌশলে কিছু শব্দ ব্যবহার করে ইন্টেরিম সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে। আমাদের দাবি ছিল দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কিন্তু তা হয়নি। সোমবার সরকার পরিপত্র ঘোষনা করবে বলে জানিয়েছে।
সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করব। সরকারের পরিপত্রের ওপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের পরিবর্তি কর্মসূচি ঘোষণা করব। এরও একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই। আওয়ামী লীগের ডালপালা ও শেকড় যেখানে বিস্তীর্ণ সব উপরে ফেলতে হবে। তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সঙ্গে ১৪ দল এবং সকল সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে জুলাই ঐক্যের বৈঠকে নেওয়া চারটি সিদ্ধান্তের কথা জানান সংগঠকরা।
সিদ্ধান্তসমূহের মধ্যে রয়েছে- ১. জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে বিপ্লবী জুলাই ঘোষণাপত্র সরকারের কাছে প্রস্তাব করবে। ২. সারাদেশে জুলাইয়ের স্প্রিট ধারণকারী সকল সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করা হবে। ৩. তিন দফা দাবি পূরনে আমরা সরকারের পদক্ষেপগুলোকে পর্যবেক্ষণ করব। ৪. আমরা সরকারের কাছে অহ্বান জানাচ্ছি বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত ফ্যাসিবাদের দোসরদের ব্যাপারে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। অন্যথায় আমরা তালিকা প্রকাশ করব।