![আপনাদের ‘শত্রু রাষ্ট্রে’ সালাউদ্দিন কীভাবে নিরাপদে আছেন ? আপনাদের ‘শত্রু রাষ্ট্রে’ সালাউদ্দিন কীভাবে নিরাপদে আছেন ?](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/b2-2405221721.jpg)
ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় ‘বন্ধু রাষ্ট্রে গিয়ে নিরাপত্তা নাই’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন বন্ধু রাষ্ট্রে গিয়ে নিরাপত্তা নাই। আপনাদের যদি শত্রু রাষ্ট্র হয়, সেখানে সালাউদ্দিন সাহেব (বিএনপি নেতা) এতদিন নিরাপদে কেমন করে আছেন? তাকে তো কেউ হত্যা করেননি। তার জীবনে তো নিরাপত্তা বিঘিœত হয়নি, জীবনের কোনও হানি ঘটেনি।
এই ধরনের অপবাদ কেন দিচ্ছে বন্ধু রাষ্ট্রকে? বন্ধুরাষ্ট্র নিয়ে কথায় কথায় দোষারোপের রাজনীতি না করতে মির্জা ফখরুলের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ‘সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শিরোনামে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটি তাদের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতেই এই সভার আয়োজন করে।
আনোয়ারুল আজিমের ঘটনা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কলকাতার নিউ টাউনে আমাদের একজন এমপি হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছেন। দুই-তিনদিন ধরে তাকে নিয়ে একটা ধোঁয়াশা ছিল।
তাঁর পরিবারসহ কেউ জানে না। চিকিৎসার জন্য তিনি ভারতে গেছেন। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। আমাদের একজন এমপি যখন চিকিৎসার জন্য যান, তিনি কিন্তু ভারত সরকারকে জানিয়ে যান না। সেখানকার যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে গেলে নিরাপত্তার ব্যাপারটি তখনই দেখা হয়।
তিনি বলেন, তাকে (আনোয়ারুল আজিম) যারা হত্যা করেছে, যে ফ্ল্যাটটিতে, সেটা বাংলাদেশের কেউ ভিন্ন নামে ক্রয় করেছে। ওখানে যারা হত্যা করেছে পাঁচ-ছয়জনের মতো, এর মধ্যে পাঁচজনই বাংলাদেশের। এই ব্যাপারটা নিয়ে ‘যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা’- এই ধরনের উক্তি করা সমীচীন না।
গণহত্যার সমর্থকদের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা ফিলিস্তিনে দিনের পর দিন গণহত্যায় সমর্থন দিয়ে যায়, শিশুদের হত্যা করে তারা কাকে নিষেধাজ্ঞা দিলো না দিলো তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই সরকারের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাড়ে ৩৫ হাজার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে ইসরাইল। জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতি রেজ্যুলেশন উপেক্ষা করে হত্যাকা- চালাচ্ছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্ররা এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করলে সে দেশের পুলিশ তাদের ওপর আক্রমণ করে। নারী শিক্ষার্থীদের রশি দিয়ে পেছন থেকে হাত বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। যারা ইসরাইলকে সমর্থন করে, নেতানিয়াহুকে সমর্থন করে, এই যদি তাদের গণতন্ত্র-মানবাধিকার হয়, তবে তাদের ভিসা নীতি বা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর নিজস্ব নিয়ম-কানুন রয়েছে, সেখানে কেউ অপরাধী হলে তাদের ছাড় দেওয়ার মতো লোক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নন।
সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মঞ্চ সারথি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য নায়ক ফেরদৌস আহমেদ, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।