ওবায়দুল কাদের
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই দলীয় প্রার্থী দেবে আওয়ামী লীগ। তবে সমঝোতা হলে জোটকে কিছু আসন ছেড়ে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ধানম-িতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়য়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শরিক দলের মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর মধ্যে আমরা পর্যবেক্ষণ করব, সমন্বয় করব। যেখানে যা প্রয়োজন তা করব। ১৭ তারিখের মধ্যে সবকিছু ফাইনাল করা হবে।
নৌকা মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতারাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে বিশৃঙ্খলা হবে কি না, এ প্রশ্নে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা দেখছি কারা কারা (নির্বাচনে অংশ নিতে) চাইছে। আমাদের কৌশলগত সিদ্ধান্ত আছে, ১৭ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। এর ভেতরে আমরা পরিবর্তন, সংশোধন করতে পারব। আমাদের কৌশলগত দিকও থাকবে।
অপর এক প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার কৌশল আমাদের নেই। তারা এলে স্বাগতম। তাদের দলের কেউ কেউ আসতে পারেন। কেউ কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। ৩০ তারিখের পর সব ঠিক হয়ে যাবে।
সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের মনোনীত প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মানার নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের টার্গেট হলো শান্তিপূর্ণ, অবাধ-সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। তবে নানা মনে নানা মত থাকবে। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করে দেখিয়ে দিতে চাই যে আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি।
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্নজন বিভিন্ন রকম মন্তব্য করছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে অনেক জল্পনা-কল্পনা করছেন। এসবের অবসান হবে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। তার পর অনেক সমালোচনাই বন্ধ হয়ে যাবে।