ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

র‍্যাব নয়, প্রধানমন্ত্রীকেই সেংশন দেয়া উচিৎ: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ২০:১২, ১৪ অক্টোবর ২০২২; আপডেট: ২০:১৬, ১৪ অক্টোবর ২০২২

র‍্যাব নয়, প্রধানমন্ত্রীকেই সেংশন দেয়া উচিৎ: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: জনকণ্ঠ।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গুম, হত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘন করার কারণে র‌্যাবের উপর সেংশন দেওয়া হয়েছে। সরকার দ্বারা র‌্যাব নিয়ন্ত্রিত। সরকারই তাদের মালিক ও হুকুম দাতা। র‌্যাব তো কাজই করতে পারে না প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া। যদি সেংশন দিতেই হয় তাহলে সরকার বা প্রধানমন্ত্রীর উপরে দেওয়া উচিৎ।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে তার নিজ বাসবভনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
    
নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী নির্বাচন যদি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হয় তাহলে বিএনপি সেই নির্বাচনে অংশ নিবে না এবং সেই নির্বাচন আমরা করতেও দিবো না। নির্বাচন হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের মাধ্যমেই নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা আন্দোলন করছি। সরকার আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছে। নতুন করে আরো ২৫ হাজার নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলা-হামলা যাই হোক এবার আর মাঠ ছাড়ছি না, জনগণ মাঠ ছাড়বে না।
 
তিনি আরো বলেন, বিএনপি একটি লিবারেল ডেমোক্রেসি পার্টি। তারা রাজনীতি করে। সংবিধানের মধ্যে যে নিয়মগুলো আছে তা মেনে রাজনীতি করে। নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদে যাওয়ার জন্য রাজনীতি করে এবং তারা বিশ্বাস করে সভা, সমাবেশ, কথা বলার স্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা, সংগঠনের স্বাধীনতা এগুলোতে ইনসিওর দেয়। কিন্তু সেই পরিবেশ নেই। দেশে এখন একটা একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। একথাগুলো আগেও আমরা বলতাম। তাদের যে এখন সহযোগি দল জাতীয় পার্টি, তার প্রধান জিএম কাদেরও বলছেন বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। একটি একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।
       
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই আমরা এগিয়ে চলেছি। এতে আমরা কোনো বাধাই মানবোনা ও দেশের মানুষও মানবে না। আজকে সেটা প্রমাণিত হয়ে গেছে চট্টগ্রামের সমাবেশসহ ইউনিয়ন ও জেলা পর্যায়ের সমাবেশগুলোতে।
       
তিনি আরও বলেন, শনিবার ময়মনসিংহে আমাদের যে সমাবেশ আছে সেখানেও আওয়ামী লীগ সমাবেশ ডেকেছে। যেখানে আমাদের আগে থেকেই সমাবেশর ঘোষণা দেওয়া ছিল। আর সেখানে আওয়ামী লীগের সমাবেশ ডাকার অর্থই হচ্ছে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনা। সন্ত্রাস তারাই সৃষ্টি করে। তারাই আজকে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে ও ধ্বংস করার কাজ করে চলেছে। সেটা তারা রাস্ট্র সহযোগিতা নিয়ে করছে। এখন তারা রাস্ট্রকেও সন্ত্রাসী রাস্ট্র হিসেবে পরিণত করছে। সেই ক্ষেত্রে আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য সংগ্রাম ও লড়াই করছি। এই সংগ্রাম লড়াই ও আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এবার কোনো বাধাই আমাদের বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না।
     
দূর্গাপূজার মন্ডপ পরিদর্শনের সময় ছোটবেলায় পূজা মন্ডপে নাটক করা প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি এবং আমার দল সবসময়ই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে বিশ্বাসী। এসময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়মুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, তাঁতী দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাবলুসহ বিএনপি'র অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচ

×