ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

ঢাকার দনিরাত

মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ১৮:০৯, ২১ জুলাই ২০২৫

ঢাকার দনিরাত

রবিবার থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন সড়ক থেকে উচ্ছেদে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এক অভিযান শুরু করেছে। সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ফিটনেসবিহীন ও  মেয়াদোত্তীর্ণ যান সড়কে থাকলে যানজট হয়। পরিবেশদূষণ করে।

বদলে গেছে মিরপুর

মিরপুর ঢাকার পুরনো আবাসিক এলাকা। আলাদা একটা টাউনেরই মর্যাদা পেতে পারে। বাইশ বছর আগে মিরপুরে এক বছর ছিলাম। এক নম্বর মিরপুরের মোড়ে গেলে গঞ্জের বাজারের মতো মনে হতো পরিবেশ। প্রচুর যানজট আর মানুষের ভিড়বাট্টা। নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল এক বছরেই। এখন মিরপুরের চেহারা বদলে গেছে। সেটিও কেবল যোগাযোগ ব্যবস্থার সুগম ও গতি পাওয়ার কারণেই। সোজা কথায় মেট্রোরেলের কারণে। এ নিয়ে প্রতিবেদক গোলাম রব্বানীর প্রতিবেদনটি বস্তুনিষ্ঠ। কিছুটা অংশ তুলে দিচ্ছি পাঠকদের জন্য। 
তিনি লিখেছিন, ‘মেট্রোরেলের প্রভাবে জমজমাট হয়ে উঠেছে মিরপুর এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য। গড়ে উঠছে একের পর এক বিপণিবিতানসহ নামি-দামি ব্র্যান্ডের দোকান। মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (৫৫) ১৯৯৬ সালে ভোলা থেকে ঢাকায় ব্যবসার আশায় এসেছিলেন। বর্তমানে পল্লবী আবাসিক এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘সেই সময় পল্লবীতে বহুতল ভবন বলতে ছিল কয়েকটি গার্মেন্ট কারখানা। তিন দশকে গোটা মিরপুর বহুতল ভবনে ভরে গেছে। মেট্রোরেলের কারণে পুরো এলাকা এখন বাণিজ্যিক জোনে পরিণত হয়েছে, যোগাযোগব্যবস্থা যেমন সহজ হয়েছে, তেমনি ব্যবসাও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’
সম্প্রতি মিরপুর ২, ১০, ১১ ও পল্লবী এলাকা ঘুরে সালাউদ্দিনের কথার সত্যতা পাওয়া গেল। আধুনিক হাসপাতাল, শপিংমল, সিনেপ্লেক্স, ক্যাফে ও রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কারণে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে।
মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী সনি স্কয়ার আজ ঢাকার অন্যতম লাইফস্টাইল হাব হিসেবে পরিচিত। ১৯৮০-এর দশকে এটি গার্মেন্ট কারখানা হিসেবে নির্মিত হলেও পরে ‘সনি সিনেমা হল ও মার্কেট’ হিসেবে পরিচিতি পায়। ঢাকাই সিনেমার দুঃসময়ে সনি হল দর্শক হারায়। সঙ্গে ভবনটিও হারিয়ে যায় বিস্মৃতির অতল গহ্বরে।
২০২১ সালে আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে এটি ফিরে পেয়েছে নতুন রূপে। এখন ঝকঝকে করপোরেট অফিস, শপিং জোন, ফুড কোর্ট, ছাদ রেস্তোরাঁ, আধুনিক সিনেপ্লেক্সসহ একাধারে বিনোদনের জায়গা।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো ভবনের পুরানো গার্মেন্ট কারখানার স্পাইরাল র‌্যাম্পটি সংরক্ষণ করা হয়েছে, যা কালো কাচ ও মনোরম আলোকসজ্জায় নতুন প্রাণ পেয়েছে।
সনি স্কয়ার ঘিরে গড়ে উঠেছে রুহানী মার্কেট, রূপায়ণ টাওয়ার, মিরপুর নিউমার্কেট, মাল্টিপ্ল্যান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, এ আর টাওয়ারসহ বহুতল বাণিজ্যিক ভবন। সকাল থেকে রাত অবধি এই চত্বর জমে ওঠে কেনাকাটা, খাবার ও বিনোদনের উদ্দেশ্যে আসা মানুষের ভিড়ে। বৃহত্তর মিরপুরবাসীর লাইফস্টাইলের কেন্দ্র এখন সনি স্কয়ার।
একসময় পল্লবী ছিল নিরিবিলি ও ছিমছাম আবাসিক এলাকা। সন্ধ্যা নামলেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যেত। তখন এলাকার প্রাণকেন্দ্র ছিল ‘পল্লবী হল’। সিনেমার টিকিট কাটার দীর্ঘ লাইন, ব্ল্যাকারদের দাপট, চানাচুর বিক্রেতা ও বইপত্র বিক্রির দোকান- সব মিলিয়ে গড়ে উঠেছিল এক আলাদা সাংস্কৃতিক পরিবেশ।
পল্লবীর প্রধান সড়ক ঘেঁষে গড়ে উঠেছে শপিং কমপ্লেক্স, ক্যাফে, অফিস ও হাসপাতাল। মিরপুর ডিওএইচএস, রূপনগর, আরামবাগ, আলুব্দী আবাসিক এলাকাকে কেন্দ্র করে পল্লবী এখন একটি সুসংগঠিত বাণিজ্যিক জোনে পরিণত হয়েছে।
এলাকাজুড়ে রয়েছে একাধিক শপিং সেন্টার, নামি-দামি পোশাকের ব্র্যান্ড, খাবারের দোকান, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ও হাসপাতাল। সবজি, মাছ, মুদি পণ্য, কসমেটিকস থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিকস- সবই পাওয়া যায় এক ছাদের নিচে।
ওয়ালটন, সিঙ্গার, ভিশন, এলজি-বাটারফ্লাইয়ের মতো প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের শোরুমও রয়েছে পল্লবীতে। খাবারের দোকানে এসেছে বৈচিত্র্য। ফাস্ট ফুডের রমরমা ব্যবসার পাশাপাশি দেশি থেকে চায়নিজ, কাবাব-বিরিয়ানি পর্যন্ত সব ধরনের খাবার পাওয়া যায় এলাকাটিতে। স্বাস্থ্যসেবার দিক থেকেও পল্লবী বদলে গেছে। একাধিক হাসপাতাল, ফার্মেসি, ডেন্টাল ক্লিনিক, প্যাথলজিক্যাল ল্যাব এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে আছে।
মূলত ঢাকা শহরের একসময়ের শহরতলি মিরপুর আমূল বদলে গেছে। অতীতের নস্টালজিয়া আর আধুনিকতার ছোঁয়া মিলেমিশে ফুটে উঠেছে নতুন দিনের ঢাকার এক প্রাণবন্ত ছবি। মেট্রোরেলের ছোঁয়ায় এই স্থান হয়ে উঠেছে নগরবাসীর নতুন ঠিকানা। যেখানে জীবনের গতি আর রং এক অন্য আবহ তৈরি করেছে।’

দীপনের একক প্রদর্শনী

লালমাটিয়ার ভূমি গ্যালারিতে সদ্য সমাপ্ত হলো প্রতিভাবান শিল্পী মাহমুদুর রহমান দীপনের তৃতীয় একক চিত্রপ্রদর্শনী ‘মুহূর্তেরা’। দীপনের এক বন্ধু চমৎকার বলেছেন তাঁর শিল্প-প্রবণতা নিয়ে। দিয়েছেন রেনেসাঁ শিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির উদ্ধৃতি- ‘চিত্রকলা যেন চোখে দেখা কবিতা, আর কবিতা যেন হৃদয়ে অনুভব করা চিত্রকলা’। শিল্পী দীপনের ক্ষেত্রে এটি প্রাসঙ্গিকতার কারণ তাকে অনায়াসে চিত্রকলার এক কবি বলা যায়। রেখা রং এবং কম্পোজিশনের মধ্য দিয়ে আঁকেন কাব্য। ৫৪টি চিত্রকর্মের সমাহারে এই প্রদর্শনীটি দৃষ্টিনন্দন ও মোহ জাগানিয়া। চারকোল, অ্যাক্রেলিক, জলরং এবং প্যাস্টেল মাধ্যমে করা চিত্রকর্মগুলোতে দেখতে পাই শিল্পী দীপনের দক্ষতা, জীবন দর্শন ও শিল্পভাবনার বৃহৎ ব্যাপ্তি। শিল্পী দীপনের কাজ ক্লাসিক্যাল ঘরানার। ‘মুহূর্তেরা’ তথা ‘দ্য মোমেন্টস’ প্রদর্শনীতে শিল্পী দর্শকদের এমন এক জগতে আমন্ত্রণ জানান যেখানে দীপন দর্শককে দেখান তার নিজস্ব এক দৃশ্যজগৎ। সেখানে দর্শক চাইলে পরাবাস্তব একটি দৃশ্যের মধ্যে ঢুকে, ঘুরে আসতে পারেন, অথবা পারেন চারকোলের কালো আঁচড়ের মধ্যে খুঁজে পেতে নিজ গহিন কোনো ভাবনার সন্ধান

 

ভাইরাল ছিনতাইকারী 

এক ছিনতাইকারী চাপাতির ভয় দেখিয়ে এক যুবকের কাছ থেকে ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশের সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছেন- এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের রাসেল স্কয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, প্রিন্টের শার্ট ও কালো রঙের প্যান্ট পরা একজন সাদা শার্ট ও জিনসের প্যান্ট পরা এক যুবককে চাপাতির ভয় দেখাচ্ছেন। একপর্যায়ে তিনি ওই যুবকের কাছ থেকে ব্যাগটি ছিনিয়ে রাস্তা পার হয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান। ওই সময় কাছেই সড়কে পুলিশের পোশাক পরা দুজন, সাদা পোশাকের একজনসহ তিন পুলিশ সদস্যকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়। চাপাতি হাতে তাঁদের সামনে দিয়েই চলে যান ছিনতাইকারী। ছিনতাইয়ের সময় ঘটনাস্থলে কিছু মানুষ থাকলেও সবাই নির্বিকার হয়ে তাকিয়ে দেখছিলেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, নিউ মডেল বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের বিপরীত পাশে ঘটনাস্থল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দিকে।
এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যাশৈন্যু মারমা গণমাধ্যমকে বলেন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের রাসেল স্কয়ারের সামনে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পরের ঘটনা এটি। ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তির খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। ছিনতাইয়ের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। রাত ১২টার পর রাসেল স্কয়ার মোড়ে ট্রাকের চাপ থাকে বেশি। এছাড়া রাসেল স্কয়ারের আশপাশে অনেক নৈশকোচের স্ট্যান্ড রয়েছে। রাতে এসব বাস ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। উপস্থিত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত ছিলেন।
এর আগে গত ১১ জুলাই ভোরে শ্যামলী ২ নম্বর সড়কে শিমিয়ন ত্রিপুরা নামের এক যুবক ছিনতাইয়ের শিকার হন। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, সকাল ৬টার দিকে শ্যামলী ২ নম্বর সড়কের কাজি অফিসের দিক থেকে ছাতা হাতে এক যুবক হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন এসে ওই যুবকের কাছে থামে। এরপর মোটরসাইকেল থেকে দুই ছিনতাইকারী নেমে চাপাতি ধরে ওই যুবকের মুঠোফোন, মানিব্যাগ ও ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা যুবকের জামা-জুতাও খুলে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে চলে যায়। ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিনজনকে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
‘গণ কেস’

আওয়ামী লীগ এ দেশে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কী করেছে, বলতে চাই না। তারা গণ কেস। তাদের এই দেশে ঢোকার আর কোনো সম্ভাবনা নেই, তারা একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক।’ শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এ কথা বলেন।
এত ‘নির্দোষ, নিরপরাধ, নিষ্পাপ’ সরকার আমি দেখিনি: বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের মন্তব্য এটি। রোববার ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক: কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে শুল্ক নিয়ে দর-কষাকষিতে সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের মহাসমাবেশ

একাত্তরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী প্রথমবারের মতো বিশাল এক শোডাউন করল ঢাকায়। মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ স্মৃতিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উদ্যানে জায়গা না পেয়ে হাজার হাজার লোক আশেপাশের এলাকা, এমনকি সড়কের ওপরে অবস্থান গ্রহণ করেন। জনাকীর্ণ সমাবেশে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরেকটা লড়াইয়ের’ ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। সেই সঙ্গে নির্বাচিত হয়ে তাঁর দল সরকার গঠন করতে পারলে কী কী করবে, সেই ঘোষণাও দিয়েছেন।
শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আগামীর বাংলাদেশটা কেমন হবে? আমি বলি, আরেকটা লড়াই হবে ইনশা আল্লাহ। একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে।’ তিনি বলেন, ‘চাঁদা আমরা নেব না, দুর্নীতি আমরা করব না। চাঁদা আমরা নিতে দেব না, দুর্নীতি সহ্য করব না। এই বাংলাদেশটাই আমরা দেখতে চাই।’
শনিবার দুপুরে শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ সাত দফা দাবিতে এই সমাবেশ হয়। সমাবেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার সময় পরপর দুবার অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে যান শফিকুর রহমান। পরে বসা অবস্থায় তিনি বক্তৃতা শেষ করেন।
এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাত থেকেই বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে ঢাকায় আসতে শুরু করেন দলটির নেতা, কর্মী, সমর্থকরা। শনিবার ভোর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলের দিকে যান দলটির নেতাকর্মীরা।
সকাল থেকে সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতে থাকেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানমুখী যাত্রার কারণে রাজধানীর অনেক রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি রাস্তার মোড়ে মোড়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে জামায়াতের স্বেচ্ছাসেবকদেরও। তবে লোকসমাগম বাড়লে যানজট নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে পুলিশকে। যানজট ও জনগণের ভোগান্তির উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে নগরবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।

২০ জুলাই ২০২৫
[email protected]

 

প্যানেল/মো.

×