
দীর্ঘদিন ধরে ভাবছি, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ কি সত্যিই কখনো বন্ধ হতে পারে? যুদ্ধ যে এক ভয়াবহ মানবিক ট্র্যাজেডি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সবসময় মনে করি, বিশ্ব তার নিজের সুবিধামতো একপাক্ষিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সবকিছু দেখে, এবং মানুষকেও তাই দেখাতে বাধ্য করে যেখানে ইউক্রেন-রাশিয়া উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গিই গুরুত্বের দাবি রাখে, বিশেষ করে যখন ইসুটি তাদের নিরাপত্তা, ইতিহাস এবং অঞ্চলগত জটিলতার সঙ্গে সম্পর্কিত। সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্ক এই দুই দেশের মধ্যে এক শান্তির সেতুবন্ধন তৈরির চেষ্টা করছে। পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে আলোচনা চলছে এবং আমরা আশাবাদী এই প্রক্রিয়া যদি আন্তরিকভাবে এগিয়ে চলে, তবে শান্তি অবশ্যই সম্ভব। আমাদের মনে রাখা দরকার এই যুদ্ধের সূচনা হঠাৎ করে হয়নি। এর পেছনে রয়েছে এক দীর্ঘ রাজনৈতিক ও কৌশলগত ইতিহাস। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ইউক্রেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু শুরু থেকেই দেশের ভেতর রুশ-পন্থি ও পশ্চিমাবিশ্বপন্থি অংশের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেন পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি ঝুঁকতে থাকে, ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে চায়। এটা রাশিয়ার জন্য এক ধরনের ভৌগোলিক ও কৌশলগত হুমকি হিসেবেই দেখা দেয়। ক্রিমিয়া, ডনবাস, দোনেৎস্কÑ এসব অঞ্চলে রুশভাষী মানুষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল এবং তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনগুলো ছিল রাশিয়ার পক্ষে সহানুভূতিশীল। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়ার অন্তর্ভুক্তির পর থেকে পরিস্থিতি একেবারেই বদলে যায়। এরপরই শুরু হয় দোনবাসে সংঘর্ষ, যা ধীরে ধীরে এক পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ নেয়।
গত তিন বছর ধরে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাত বিশ্ব রাজনীতিকে পুনর্গঠিত করেছে, অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে এবং অগণিত মানবিক দুর্ভোগ তৈরি করেছে। এই যুদ্ধের অবসানের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা যখন আবার শুরু হয়েছে, বিশেষত যখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির তুরস্কে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে, তখন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, বর্তমান পরিস্থিতি এবং যুদ্ধের প্রভাব সম্পর্কে বিশ্লেষণ করা জরুরি। বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে, রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে অঞ্চলটিতে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেয়েছে এবং একটি শান্তিচুক্তি এই চলমান সংকটের কৌশলগত সমাধান হতে পারে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রাতারাতি তৈরি হয়নি। ঐতিহাসিকভাবে, ইউক্রেন ছিল রাশিয়ার প্রভাব বলয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা সোভিয়েত যুগ থেকে চলে আসছে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ইউক্রেন স্বাধীনতা লাভ করে, কিন্তু অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে এটি রাশিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে ২০১৪ সালের ইউরোমাইদান আন্দোলনের পর পশ্চিমা প্রভাব ইউক্রেনে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়, যার ফলে একটি প্রো-রাশিয়ান সরকার উৎখাত হয় এবং একটি পশ্চিমাপন্থি প্রশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। যেমনটা উল্লেখ করেছি, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া রাশিয়া দ্বারা সংযুক্তকরণ ছিল এই পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রতিক্রিয়া, যা ব্ল্যাক সি অঞ্চলে রাশিয়ার কৌশলগত স্বার্থ রক্ষা করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ডনবাস অঞ্চলে সংঘাত আরও বৃদ্ধি পায়, যেখানে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করে। যদিও শান্তিচুক্তির জন্য বহু প্রচেষ্টা করা হয়েছে, যার মধ্যে মিনস্ক চুক্তি অন্যতম, ইউক্রেনের ন্যাটো ও পশ্চিমা শক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ততা উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
২০২২ সালে রাশিয়া যখন ইউক্রেনে প্রবেশ করে, তখন গোটা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে যায়। অনেকে বলেছিল রাশিয়া একতরফা আগ্রাসন চালাচ্ছে, কিন্তু বিষয়টি এতটা সরল নয়। ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিভাজন, পশ্চিমাদের সামরিক জোটে অন্তর্ভুক্তির তৎপরতা এবং রাশিয়ার নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ সবকিছু মিলিয়ে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া একরকম অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। যদিও যুদ্ধ কোনোভাবেই কাম্য নয়, কিন্তু রাশিয়ার অবস্থানকে একেবারে অযৌক্তিকও বলা যায় না। বর্তমানে, তুরস্ক এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের চেষ্টা করছে। প্রেসিডেন্ট এরদোগান একাধিকবার বলেছেন তিনি শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত। তুরস্কের ভৌগোলিক অবস্থান, কৌশলগত ভারসাম্য এবং দুই পক্ষের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে এই প্রচেষ্টা বাস্তবসম্মত। ইতোমধ্যে জেলেনস্কি বলেছেন তিনি তুরস্কে পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। যদিও এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না যে পুতিন সেই আলোচনায় অংশ নেবেন কি না, তবু এটি একটি বড় পদক্ষেপ। এই তিন বছরে যুদ্ধের প্রভাব দুই দেশেই তীব্রভাবে পড়েছে। ইউক্রেনের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রচুর মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, শহর ধ্বংস হয়েছে, অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না, বৃদ্ধরা ওষুধ পাচ্ছে না। শীত, ক্ষুধা, আর অনিশ্চয়তা মানুষের জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক সহায়তা থাকলেও পুনরুদ্ধার এত সহজ না, বিশেষ করে যখন দেশের বড় অংশ এখনো যুদ্ধক্ষেত্র। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া তার অবস্থান বজায় রেখেছে যে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের যে আগ্রহ সেটি রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। যুদ্ধের ফলে রণক্ষেত্র পরিবর্তিত হয়েছে, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। তুরস্ক এই আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছে, আগেও ইস্তানবুলে শান্তি আলোচনা এবং ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের মতো চুক্তির ব্যবস্থা করেছিল। এখন তুরস্কে আলোচনার নতুন সুযোগ তৈরি হওয়ায় কূটনৈতিক অগ্রগতির বাস্তব সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। পুতিন আলোচনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, এবং জেলেনস্কি যুদ্ধবিরতির শর্তে আলোচনা করতে ইচ্ছুক বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। নিরপেক্ষ ক্ষেত্র হিসেবে তুরস্ক উভয় পক্ষের জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে। যুদ্ধের কারণে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। রাশিয়ার অর্থনীতি কঠোর নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে, যা তার ব্যাংকিং, বাণিজ্য ও প্রযুক্তিকে প্রভাবিত করেছে। তবে মস্কো চীন, ভারত ও অন্যান্য অ-পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করে অভিযোজন করেছে। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার অর্থনীতি টিকে আছে, যা তার শক্তিশালী সক্ষমতার প্রমাণ। ইউক্রেনের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার অবকাঠামোগত ধ্বংসের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। দেশটি পশ্চিমা আর্থিক সহায়তার উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করছে, তবে এই সহায়তা কতদিন স্থায়ী হবে তা অনিশ্চিত। যুদ্ধের ফলে বিশাল জনগোষ্ঠী স্থানান্তরিত হয়েছে, লক্ষ লক্ষ ইউক্রেনীয় প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছে।
পুরো শান্তি প্রক্রিয়ায় আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন, এটি ভুলে গেলে চলবে না। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে সরাসরি উদ্যোগ নেন। নির্বাচনী প্রচারের সময় তিনি বারবার দাবি করেছিলেন যে নির্বাচিত হলে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন। এরপর ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই তিনি জানান যে তার প্রশাসন ইতোমধ্যেই রাশিয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করছে এবং অচিরেই কিছু দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ফেব্রুয়ারি মাসে ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে এক ঘণ্টার বেশি সময় ফোনালাপ করেন এবং পরদিন জেলেনস্কির সঙ্গে কথাবার্তা শেষ করে জানান যে ‘আমরা শান্তির পথে আছি।’ মার্চের শুরুতে তিনি ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা সাময়িকভাবে স্থগিত করে দেন, যা অনেকেই শান্তি আলোচনায় চাপ সৃষ্টি করার কৌশল হিসেবে বিবেচনা করেন। ট্রাম্প উভয় পক্ষকে যুদ্ধ বন্ধের জন্য আহ্বান জানান এবং ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান করেন। সেই যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ হলে তিনি রাশিয়ার ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেন। বিশেষ করে রুশ তেলের ওপর ২৫-৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের সম্ভাবনার কথা প্রকাশ করেন। তুরস্কের ইস্তানবুলে সম্ভাব্য শান্তি সম্মেলনের আয়োজনের ক্ষেত্রেও ট্রাম্প সরাসরি কূটনৈতিক তৎপরতা চালান। মে মাসে জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার পর হোয়াইট হাউস জানায়, ফোনালাপ ছিল ‘উৎপাদনশীল’ এবং উভয় পক্ষকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানোর লক্ষ্যে ট্রাম্প চাপ অব্যাহত রাখছেন। এসব বক্তব্য ও পদক্ষেপে বোঝা যায়, তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ও চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে যুদ্ধ থামাতে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করছেন।
কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে, রাশিয়া এমন একটি সমাধান চায় যা তার নিরাপত্তা স্বার্থ নিশ্চিত করবে এবং অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে। একটি শান্তিচুক্তি ইউক্রেনকে নিরপেক্ষতা গ্রহণ করতে বাধ্য করতে পারে, ন্যাটো সদস্যপদ থেকে বিরত থাকতে পারে এবং ক্রিমিয়ার ওপর রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব স্বীকার করতে পারে। এছাড়া রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা পুনরুদ্ধার করা যেতে পারে, যা উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে। একটি বাস্তব শান্তি চুক্তি তখনই সম্ভব যখন দুই পক্ষই কিছু ছাড় দিতে প্রস্তুত থাকবে। রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গিকে অবহেলা করা যায় না। তারা বহুবার বলেছে, তাদের মূল উদ্বেগ ইউক্রেনের পশ্চিমে ঝুঁকে পড়া, ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা এবং রুশভাষী জনগণের অধিকার হরণ। এসব বিষয়কে আলোচনার কেন্দ্রে আনাই হবে শান্তির বাস্তব পথ। তুরস্ক এই মুহূর্তে সম্ভবত সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মধ্যস্থতাকারী। কারণ তারা উভয় দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এর আগে তারা শস্যচুক্তি এবং মানবিক করিডর তৈরিতে সফল হয়েছিল। তাই এই নতুন আলোচনাতেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। শীঘ্রই আমরা এমন একটি মুহূর্ত দেখতে পাব, যেখানে রাশিয়া এবং ইউক্রেন এক টেবিলে বসে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে কোনো রাজনৈতিক নাটক নয়, কোনো শক্তির খেলা নয়, বরং বাস্তবতা ও মানবিকতা মেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে। কারণ যুদ্ধ কখনো কারও জন্য স্থায়ী সমাধান নয়, তা শুধু ধ্বংস আর অশ্রু নিয়ে আসে। এখনই সময় সেই অশ্রু মুছে দেওয়ার। তুরস্কের মধ্যস্থতা সফল হলে, শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা আরও সুগঠিত হবে। যদি জেলেনস্কি সরাসরি পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন, তাহলে যুদ্ধবিরতি এবং দীর্ঘমেয়াদি শান্তির কাঠামো গঠনের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। পশ্চিমা শক্তির ইউক্রেনের ওপর প্রভাব বজায় থাকলেও বাস্তবমুখী পন্থায় রাশিয়ার স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি সমাধান খুঁজে বের করা যেতে পারে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি সম্ভব, যদি উভয় পক্ষ আন্তরিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যায়। রাশিয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ দেখিয়েছে এবং তার কৌশলগত স্বার্থ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। অন্যদিকে ইউক্রেনকে তার ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা স্বীকার করতে হবে এবং এমন একটি সমাধান খুঁজতে হবে যা তার ভবিষ্যৎ সংরক্ষণ করবে। তুরস্কে আলোচনা যত এগিয়ে যাবে, বিশ্ব তখন দেখবে যে এই যুদ্ধের অবসান সম্ভব কিনা।
১৩ মে ২০২৫
[email protected]
প্যানেল