
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) সাম্প্রতিক অবস্থান ও কৌশল। রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসিফ সৈকত তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে দাবি করেছেন, এনসিপি নিজেদের ‘সেকুল্যার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা আদায়ের পথ বেছে নিয়েছে। তার মতে, ইন্টারিম সরকার গঠনের সম্ভাব্য ছক ও সুরও একই সুরে বাঁধা।
আসিফ সৈকতের বিশ্লেষণে উঠে আসে, হামিদ ইস্যু পরিকল্পিতভাবে সামনে আনা হয়েছে। বিএনপির মানবিক করিডোর প্রস্তাব ও নারী সংস্কার আইনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ার কৌশলের বিপরীতে এনসিপি এবং সংশ্লিষ্ট মহল ‘হামিদ ইস্যু’ ব্যবহার করেছে বলে দাবি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এনসিপির প্রথম বড় কৌশল ছিল শাহবাগ আন্দোলন, যেখানে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো—বিশেষ করে জামাত—একটি ফাঁদে পড়ে যায়। সেই জায়গা থেকেই এবার দ্বিতীয় কৌশলের বলি হতে চলেছে জামাত। বিশ্লেষকের মতে, দলটি তাদের ইতিহাসের অন্যতম বড় সঙ্কটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
আসিফ সৈকত মনে করেন, বিএনপি এই কূটচাল ধরতে পারলেও জামাত এবং অন্যান্য ইসলামিক দলগুলো এই ফাঁদ বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে, যা তাদের রাজনৈতিক দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতাকে স্পষ্ট করে।
তার ভাষায়, “হামিদ ইস্যুটা আনসলভড থাকবে।” কিন্তু সেই ইস্যুর ছায়া ঘিরে সামনে চলে আসবে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ, জামাতের নিবন্ধন বৈধতা, এমনকি রবীন্দ্রনাথকেও বিতর্কের কেন্দ্রে নিয়ে আসার চেষ্টা হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
ফেসবুক স্ট্যাটাসের উপসংহারে তিনি লিখেছেন—“আহা বেকুব জাতি, পলিটিক্স!”
এই মন্তব্যের পেছনে রাজনৈতিক নেপথ্য কৌশল, বিভাজনের রাজনীতি ও জনমত প্রভাবিত করার প্রক্রিয়ার ইঙ্গিত রয়েছে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা।
আসিফ