
ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের বিষয়ে প্রচার ও মতামত প্রকাশ নিয়ে আইনগত জটিলতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাবেক সচিব শাহেদ খান। সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, সরকারের আইন অনুযায়ী আওয়ামী লীগের নামে কেউ প্রচার চালাতে পারবে না। অথচ টকশো কিংবা গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিয়ে কথা বললেই সেটি প্রচার হিসেবে বিবেচিত হবে কি না—এই প্রশ্ন অনেককে ভাবিয়ে তুলছে।
শাহেদ খান বলেন, “আমরা যখন টকশোতে আওয়ামী লীগের বিষয়ে কথা বলি, তখন আইনগত দিক থেকে সেটি প্রচার হিসেবে ধরা হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তা তৈরি হয়।”
তিনি আরও জানান, দেশে আওয়ামী লীগের সমর্থক রয়েছেন কোটি ছাড়িয়ে, আর রেজিস্টার্ড সদস্য সংখ্যা লাখের উপরে। ফলে দলটির বাইরে থাকা কেউ যদি দলটির বিষয়ে মতামত দেন, সেটিও আইন অনুযায়ী ‘প্রচার’ বলে গণ্য হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
সাবেক এই আমলা বলেন, “দেশের আনাচে-কানাচে আওয়ামী লীগের কমপক্ষে ২০-৩০ শতাংশ ভোটার রয়েছে। এই সংখ্যাটা নিঃসন্দেহে কোটির উপরে। তাহলে এখন প্রশ্ন হলো, কেউ যদি আওয়ামী লীগ করে না—তবুও যদি সে দলটির বিষয়ে কথা বলে, সেটা কি প্রচার হিসেবে বিবেচিত হবে?”
তিনি মনে করেন, এই আইনি দ্ব্যর্থতার বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রয়োজন, না হলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে।
আসিফ